নিজ দলের নেতাকর্মীদের ‘আজরাইলের’ গল্প শোনানো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনি কি আল্লাহর ফেরেশতা? আপনি কী করে জানেন আজরাইল কার পেছনে ঘুরছে? ফখরুল সাহেব আল্লাহ আপনাকে কবে ফেরেশতা বানাল, নবী বানাল?
গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে বলে দাবি করেন। কিভাবে সময় শেষ হয়েছে, তা বোঝাতে দলীয় নেতাকর্মীদের ফেরেশতা ‘আজরাইলের’ একটি গল্পও শোনান বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুলের সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তার উদ্দেশে শুক্রবার বিকালে এক সভায় এসব প্রশ্ন করেন ওবায়দুল কাদের।
২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সব আজগুবি খবর, সব নষ্ট রাজনীতি, তারা করে নষ্ট রাজনীতি, ওসব নষ্ট কথা তারাই বলেন। কী ভয়াবহ? এসব রাজনীতিতে এসব কুসংস্কার আছে? যে প্রতিপক্ষকে মেরে ফেলছে। এই রকম ভয়াবহ গুজব ছড়ায়।
তিনি বলেন, তারা আজকে পথহারা পথিকের মতো, কী করবে, কী কর্মসূচি দেবে এ নিয়ে ৫৪ দল, ৫৪ পথ, ৫৪ মত। এ দল ছোট হয়ে আসবে বেশি দেরি নয়। ডানে বামে একাকার, এখন অদৃশ্য রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপি চলে। বিএনপির এখন আন্দোলন চলে রিমোট কন্ট্রোলে, অদৃশ্য নির্দেশে। বিদেশিরা কখন সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দেবে, আল্লাহর ওপর ভরসা করে বিদেশিদের ওপর তাকিয়ে আছে। জনগণ নেই, পাবলিক নেই, নিষেধাজ্ঞা ও অদৃশ্য নির্দেশ তাদের রাজনীতি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা তাদের (বিএনপি) দুর্বল ভাবি না। আওয়ামী লীগ বিরোধী সব শক্তি, কিছু অপশক্তি, আওয়ামী লীগ বিরোধী নিয়ে গঠন করেছে বিএনপির নেতৃত্বে। আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা নাকি জিয়াউর রহমান, এটা আজগুবি কথা। ফখরুল সাহেব মাঝেমধ্যে উদ্ভট কথা বলেন। জিয়াউর রহমান পারলে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেন। ১৯৭৫ সালের ঘটনা ঘটানোই হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্যে। তিনি করবেন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, তাহলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল কেন? জয় বাংলা নিষিদ্ধ হলো কেন? বাংলাদেশ বেতার, রেডিও বাংলাদেশ হলো কেন? স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস হলো কেন?
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।