বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের জনগণের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য সৃষ্টি করে এই সরকারের বিদায়ের আন্দোলনে আমরা অগ্রসর হব। অতি শিগগিরই আমরা এই সরকারকে বিদায় দিতে সমর্থ হব।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৩টায় গাবতলীতে ঢাকা উত্তর বিএনপির পদযাত্রার পূর্ব বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিকেল সোয়া ৩টায় গাবতলী থেকে মাজার রোড হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর গিয়ে শেষ হবে বিএনপির এই পদযাত্রা কর্মসূচি।
সরকারের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মামলা নির্যাতন করে মনে করেছিলেন বিএনপিকে আপনারা ঘরে বসিয়ে দেবেন। বিএনপি এবং দেশের জনগণ প্রমাণ করেছে তারা বসে যায়নি বরঞ্চ আপনাদের বিদায় করার জন্য রাস্তায় নেমেছে। তারা (আওয়ামী লীগ) এদেশের কোনো মেরামত করতে পারবে না। তাদের বিদায় যত দ্রুত সম্ভব হবে এদেশের জনগণের এবং এদেশের মানুষের জন্য ততই মঙ্গল।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা যত রকমের হুংকার দেন না কেন, এদেশের জনগণ ইতোমধ্যে আমাদের সমাবেশের মাধ্যমে তারা আওয়াজ তুলেছে এই সরকারকে তারা আর দেখতে চায় না। কেন দেখতে চায় না! এই সরকার বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। বর্তমান আবার গায়ের জোরে সরকার ক্ষমতা থাকার জন্য গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও কেউ নিজের হাতে ভোট দিতে পারে না।
মোশাররফ বলেন, যারা গণতন্ত্র হত্যাকারী, যারা ভোটাধিকার হরণকারী, চোর তাদেরকে কেউ আর ভোট দিতে চায় না। সেজন্যই আজকে আওয়ামী লীগের ভয়। এই আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে ক্ষমতায় থেকে আমাদের অর্থনীতিকে তছনছ করে দিয়েছে। কেন এটা! আপনারা সকলেই জানেন তাদের দুর্নীতি, মেগা প্রজেক্ট এর নামে দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচার।
‘সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা লুট করার জন্য বিদ্যুতের দাম, পানির দাম, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকার দেশের মানুষকে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস দিতে পারছে না; এজন্য দেশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ হচ্ছে তারা আজকে আমদানি করতে পারছে না। দ্রব্যমূলক প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের লোকেরাই এই কাজগুলো করছে। তারা বিদেশে টাকা পাচার করে এদেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছে। অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদের সময় শেষ আগামী দিনে বাংলাদেশ হবে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাংলাদেশ। আপনাদের বিদায়ের শুভযাত্রাই হচ্ছে এই পদযাত্রা। আপনারা এটাকে যাই মনে করেন না কেন, আপনাদের বিদায়ের পদযাত্রা হচ্ছে আমাদের এই শান্তিপূর্ণ সফল পদযাত্রা।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এছাড়া বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, নাজিমুদ্দিন আলম, আব্দুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।
এর আগে গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বাড্ডা থেকে রামপুরা হয়ে মালিবাগ হোটেল পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
এরপর গতকাল সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়ে শ্যামপুর পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। প্রতিটি পদযাত্রা বেলা ২টায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।