সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল কুদ্দুস সহ বিএনপি ও জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এদের মধ্যে উপজেলা বিএনপি ৬জন ও জামায়াতের ৫ জন নেতা-কর্মী রয়েছেন।
উচ্চ আদালতের অন্তরবর্তী কালিন জামিনে থাকা এসব নেতা-কর্মীরা মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন না মুঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জামিন বাতিল হওয়া বিএনপি নেতৃবৃন্দ হলেন, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল কুদ্দুস, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আজাহারুল ইসলাম মন্টু, যুগ্ম আহবায়ক তুহিন উল্লাহ, আশাশুনি উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবু জাহিদ সোহাগ, আনুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শওকত হোসেন ও ও বিএনপি নেতা হাবিবুল্লাহ। এছাড়া উপজেলা জামায়াতের ৫ নেতাকর্মী রয়েছে।
আশাশুনি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খায়রুল ইসলাম জানান, ঢাকার ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও কয়েকজন যুগ্ম আহবায়কের নাম উল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়। উচ্চ আদালতের জামিনে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে ১১ জন মঙ্গলবার সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক হুমায়ন কবীর শুনানী শেষে তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারাগারে যাওয়া নেতৃবৃন্দের জামিনের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানান তিনি।