সিরিয়ার সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের গাজিয়ানটেপ এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে নিহত হয়েছেন ১১৮ জন। এতে আহত হয়েছেন ৪৪০ জন। ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন বহু মানুষ। উদ্ধার অভিযান চলছে। এমন অবস্থায় যেকোনো দেশ থেকে আন্তর্জাতিক সাহায্য পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে তুরস্কের সরকার।
সোমবার ভোরে ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় শতাধিক লোকের মৃত্যুর নিশ্চিত করা হয়েছে বলে এক টুইটবার্তায় জানিয়েছে স্পেক্টেটর ইনডেক্স।
নিহতদের মধ্যে তুরস্কে কমপক্ষে ৭৬ জন নিহত হয়েছেন এবং সিরিয়ায় দক্ষিণ-পূর্বে আরও ৪২ জন মারা গেছেন।
উত্তর সিরিয়াও ভূমিকম্পে প্রবলভাবে আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পটি ইসরাইলেও অনুভূত হয়েছ। এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে তুরস্ক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির
স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের ফলে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছেন অনেক মানুষ। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমাবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে গাজিয়ানটেপ শহরে শক্তিশালী এ ভূমিকম্প হয়। এতে দেশটির রাজধানী আঙ্কারাসহ বিভিন্ন শহর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলও কেঁপে ওঠে।
শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে ধ্বসে পড়ে ভবনগুলোর নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপে হন্যে হয়ে স্বজনদের খুঁজছেন মানুষ। কেউবা আহতদের উদ্ধারের পর ছুটছেন হাসপাতালের পথে। হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের কান্না আর আহাজারি যেন থামছেই না।
এদিকে তুরস্কের সীমান্তবর্তী দেশ সিরিয়াতেও আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায়, বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে। সেখানেও ভবন ধসে অনেকের আটকা পড়ার খবর এসেছে।