ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: ওবায়দুল কাদের

আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আমাদের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে চলছে, হোপফুলি নির্বাচন কমিশনের আভাস অনুযায়ী আমাদের ডিসেম্বর মাসেই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। আজ সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভায় তিনি এসব তথ্য জানান।

বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথে, অন্ধকার চোরাগলির পথে সরকার হটাতে চাইছে বলে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ষড়যন্ত্রমূলক পথে হেঁটে চলছে সরকার হটানোর জন্য। এই অবস্থায় আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে কিভাবে বিরত থাকবো। খালি মাঠ পেলে বিএনপি যে কত নোংরা জায়গায় যেতে পারে, সন্ত্রাসকে কোন পর্যায়ে নিতে পারে, তাদের অগ্নিসংন্ত্রাসে কত বাস পুড়েছে। তারা কত যাত্রীকে পুড়িয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলো পুড়িয়েছে। খালি মাঠ পেলে তারা পারে না হেন কোন কাজ নেই।

তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্র ছাড়া এরা কিছু বুঝে না। এরা জানে নির্বাচন হলে শেখ হাসিনাকে হারাতে পারবে না। নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারাতে পারবে না।

বিজ্ঞাপন

তাদের কাছে একটাই পথ অন্ধকার চোরাগলির পথ। সেই পথে তারা সরকার হটাতে চাইছে। বাইরে থেকে তারা অনৈক টাকা পাচ্ছে। দুবাইয়ে বসে, লন্ডনে বসে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে আমাদের মাঠে নামতে হবে পরিপূর্ণ উদ্যমে।
তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে প্রথম থেকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রতিযোগিতা চেয়েছি। আমাদেরকে তারা বরাবরই শত্রুপক্ষ মনে করে আসছে। আমাদের দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা কোনো কর্মসূচি দিলে কিছু সংবাদমাধ্যম বিএনপির কথাটিকে বলে। বিএনপি বলছে পাল্টাপাল্টি। আমরা তো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করছি না।
দলের নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলনের পর কেমন যেন একটা গাছাড়া ভাব দেখা যাচ্ছে নেতাদের মধ্যে। ডিসেম্বর মাস, আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। প্রতিদিনই বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। টিমওয়ার্ক, গণসংযোগ করতে হবে, ঘরে ঘরে যেতে হবে।

তিনি বলেন, যে যাই বলুক, আমরা আমাদের সমাবেশ করবো। আমরা শান্তি সমাবেশ করবো। মাঝে মাঝে আমরা মহাসমাবেশ করছি। আগামী ১১ই মার্চ ময়মনসিংহে মহাসমাবেশ, ১৮ই মার্চ বরিশালে মহাসমাবেশ করবো। দুটি মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশে নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তন হবে না। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। অন্যান্য দেশে ক্ষমতাসীন সরকার যেভাবে করে সেভাবে আমাদের দেশে হবে। কোন হস্তক্ষেপ হবে না। নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সরকার।

যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাড. আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সানজিদা খানম প্রমুখ।

Check Also

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।