এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে চলছে তৎপরতা। খবর সিএনএনের।
বৃহস্পতিবার রাতে তুরস্ক-সিরিয়ার সরকারি সূত্র ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গত সোমবার ভোরে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে ১৭ হাজার ৬৭৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৭৭ জন। ফলে দুই দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫১।
স্মরণকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার গৃহহীন হওয়া লাখো মানুষের দুর্দশা বাড়ছে। সাহায্যের জন্য আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত আর কাউকে উদ্ধারের আশাও ক্ষীণ হয়ে আসছে।
ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া আবহাওয়ার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে কিংবা গাড়ির ভেতরে তৃতীয় রাত পার করেছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বহু মানুষ। ভূমিকম্পে তাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে কিংবা হেলে পড়েছে। সেখানে আর ফিরে যাওয়ার সাহস নেই কারও।
বাড়িঘর ছাড়া হওয়া এই মানুষদের অনেকেই সুপারমার্কেটের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায়, মসজিদে, রাস্তার ধারে কিংবা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অস্থায়ী তাঁবু গেড়ে আশ্রয় নিয়ে আছে। খাবার, পানি এবং শীতের মধ্যে একটু উষ্ণতা পাওয়ার জন্য তারা মরিয়া।
কর্তৃপক্ষের হিসাবমতে, তুরস্কে ভূমিকম্পে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও অগণিত ভবন। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বাস।