বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে তলব করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় থাকা ৬৯টি রুশ জাহাজ বাংলাদেশে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে তলব করা হয়। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার রোদেনকো আন্দ্রে ইউরেভিচ রাষ্ট্রদূতকে সমন করে জানান, এটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এর আগে গত ডিসেম্বরে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত জাহাজ উরসা মেজরকে বাংলাদেশে প্রবেশে অনুমতি না দেওয়ার সময়ে রাষ্ট্রদূত মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে রাশিয়ার কর্মকর্তারা এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানান।
৬৯টি জাহাজের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গত জানুয়ারি মাসে সিদ্ধান্ত হলেও বিষয়টিকে সংশ্লিষ্টরা ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘে ইউক্রেন রেজুলেশনের ভোটের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে চাইছেন। এর আগে জাতিসংঘে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পাঁচটি রেজুলেশনের মধ্যে বাংলাদেশ দুটিতে পক্ষে ভোট দেয় এবং তিনটিতে ভোটদানে বিরত থাকে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে যেকোনও রেজুলেশনে বিপক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত জাহাজ বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না এ বিষয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘ইথার তাস’-এ সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাশিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে ২১ ফেব্রুয়ারি ইথার তাস এক রিপোর্টে জানায়, রাষ্ট্রদূতকে নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে রুপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্য নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত জাহাজ উরসা মেজরকে বাংলাদেশে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। মার্কিন তথ্যের ভিত্তিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।