ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসঙ্ঘে প্রস্তাব পাস : ভোট দেয়নি বাংলাদেশসহ ৩২ দেশ

জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ এবং রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।

মোট ১৪১টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ ৩২টি দেশ এ প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল এবং রাশিয়াসহ সাতটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।

প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়া সাতটি দেশ হলো- বেলারুশ, নিকারাগুয়া, রাশিয়া, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও মালি। রাশিয়ার সাথে এসব দেশের ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক রয়েছে।

বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদ নন-বান্ডিং রেজুলেশনটি অনুমোদন করেছে। যাতে রাশিয়াকে ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করতে এবং তার বাহিনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, এই ভোট আবারো প্রমাণ যে কেবল পশ্চিমারাই তার দেশকে সমর্থন করে না।

কুলেবা বলেন, ‘এই ভোটে লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার অনেক দেশ ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে।’

সাধারণ পরিষদ ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করা জাতিসঙ্ঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হয়ে উঠেছে, কারণ এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে কাজ করে।

অন্যদিকে, জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতার কারণে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

তবে, সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবগুলো নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের মতো আইনত বাধ্যতামূলক নয়, তবে বিশ্ব মতামতের ব্যারোমিটার হিসেবে এটি কাজ করে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে সৈন্য ও ট্যাঙ্ক পাঠানোর পর থেকে যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধে উভয় পক্ষের কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং সমগ্র ইউক্রেনীয় শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। এর প্রভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানির উচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে এবং মুদ্রাস্ফীতি ক্রমে বাড়ছে।

সূত্র : এপি/ইউএনবি

Check Also

আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।