কর্তব্যের তরে করে গেলেন যাঁরা আত্মবলিদান, প্রতিক্ষণে স্মরি রাখিব ধরি তোমাদের সম্মান। এই প্রতিবাদ্যে সাতক্ষীরায় পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন মাঠে শহিদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান।
কর্তব্যরত অবস্থায় দেশসেবায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে ২০১৭ সালের ১ মার্চ থেকে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ পালন করে আসছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সকল রেঞ্জ ও জেলা পর্যায়ে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান জানান, জাতীয় যেকোনো সংকটে সামনে থেকে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ পুলিশ। মহামারি করোনাকালে নিজেদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসুস্থ করোনা রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া, সেবাশুশ্রূষা করা, খাদ্য বিতরণ, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ইত্যাদি কাজও করেছেন এ বাহিনীর সদস্যরা। অনেক ক্ষেত্রে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির স্বজনেরা দূরে সরে গেলে দাফনের কাজও পুলিশ সদস্যরা করেছেন।
এসপি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের কৃতিত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানকে স্মরণ করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশও ২০১৭ সালের ১ মার্চ থেকে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ পালন করে আসছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকাসহ সকল রেঞ্জ ও জেলা পর্যায়ে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা ও জনগণের জানমাল রক্ষার মতো ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। দেশের যেকোনো প্রয়োজন ও সংকটে নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না তাঁরা। কর্তব্য পালনকালে প্রতিবছর অনেক পুলিশ সদস্য আহত ও নিহত হন। তাঁদের আত্মত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত পুলিশ বাহিনীর জন্য গৌরব ও সম্মানের।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(কালিগঞ্জ সার্কেল) মোঃআমিনুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার(তালা সার্কেল) মোঃসাজ্জাদ হোসেন, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খাঁন, ট্রাফিক ইনচার্জ শ্যামল মুখার্জি, ডিআইও ওয়ান ইয়াসিন আলম চৌধুরী প্রমুখ।