গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তে ওই শিক্ষকের ভাড়াটিয়া শিল্পীর সঙ্গে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও প্রকাশ হয়। বিদ্যালয়ের এক ছাত্র ভিডিওটি ধারণ করে বন্ধুবান্ধব ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়েছে যায় ভিডিওটি।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবতী গানের তালে তালে মঞ্চে নৃত্য করছেন আর বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরিফিন কবির খোকন জোয়ার্দ্দার মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে তার সঙ্গে কোমড় দুলিয়ে তাল মেলানোর চেষ্টা করছেন। যুবতী বারবার সড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আরেক শিক্ষক আরিফিন কবিরকে নিবৃত করেন।
এ ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা এবং সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জন বিভিন্ন মতামত প্রদান করছে। অনেকেই বলছেন, ‘একজন শিক্ষকের আচরণ যদি এমন হয় তাহলে আমাদের সন্তানরা কি শিখবে। আমরা জানি, শিক্ষকরা মানুষকে ভিতর থেকে মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার কারিগর। কিন্তু, শিক্ষকের আচরণ যদি হয় এমন কুরুচিপূর্ণ, তাহলে আমাদের আর কি করার।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি আইডি থেকে একজন বলেন, ‘শুধু শিক্ষকের দোষ দিলে হবে না। আমি মনে করি, টোটাল ম্যানেজমেন্ট এরই সমস্যা। কারণ, একটা মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন অনুষ্ঠানে এমন নৃত্য শোভনীয় নয়। আমরা বইতে পড়ে এসেছি, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু, যেখানে টাকার বিনিময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়, সেখানে এছাড়া আর কি আশা করা যায়। কিন্তু এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা উচিত। স্থানীয় প্রত্যেকটা অভিভাবকের সচেতন হওয়া উচিত। যেন কোনো মেধাহীন শিক্ষক এবং মূর্খ, দায়িত্ববোধহীন ম্যানেজমেন্ট কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে না আসতে পারে।’
আরেকটি ফেসবুক আইডি থেকে আরেকজন মতামত দিয়ে বলেন, ‘জাতি গঠনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম শিক্ষক। পৃথিবীর সব থেকে সম্মানের পেশা শিক্ষকতা। যেখানে শিক্ষকরা অযোগ্য, সেখানে উন্নত জাতি আশা করা নিতান্তই হাস্যকর।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউল গণি ওসমানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি গুরুত্ব না দিয়ে বিষয়টি উড়িয়ে দেন।