আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়া যেখানে আছেন তা আদালতের এখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতায় মানবিক কারণে তার শাস্তি স্থগিত করেছেন এবং তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছেন। তবে এর মানে এই নয় যে তার সাজা বাতিল হয়ে গেছে। শাস্তি মওকুফ করা হয়েছে। তিনি দণ্ড নিয়েই আছেন। তিনি রাজনীতি করবেন কি নির্বাচন করবেন- তা আদালতের জাজমেন্টের অপেক্ষায় আছে। এটা আদালতই ভালো বলতে পারে।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে হলটির সুবর্ণজয়ন্তী ও প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহসীন হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ওবায়দুল কাদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ওবায়দুল কাদের মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মির্জা ফখরুল ইসলামের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে মোটেও আগ্রহী নই। কারণ তাদের যেই গণআন্দোলন- তা যখন ভাটার টানে ম্রিয়মান হয়ে পড়ে তখন তারা জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে এবং আবোলতাবোল বলা শুরু করে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান) লন্ডনে বসে পলাতক অবস্থায়ও আয়েশি জীবনযাপন করছেন। সেখানে তাদের মুখে আওয়ামী লীগকে আয়েশি জীবনের কথা বলা শোভা পায় না।
আওয়ামী লীগ ডাকসু নির্বাচন চায় কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। আওয়ামী লীগ এখানে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করবে কেন? ডাকসু নির্বাচন প্রত্যেক বছরই হতে পারে। প্রশাসন করে না কেন? এটা তাদের ব্যর্থতা। এখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।