কৃষি বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট দেবেন্দ্র শর্মা বিবিসি বাংলাকে বলেন, এ বছর শুধু যে মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষীরা ফসলের দাম না পাওয়ায় তা নষ্ট করে দিচ্ছেন তা নয়। প্রায় সব রাজ্যেই কৃষকরা ফসল নষ্ট করে দিচ্ছেন দাম না পাওয়ার কারণে।
মি. শর্মা বলেন, “পাঞ্জাব থেকে পশ্চিমবঙ্গ – এই বিরাট অঞ্চলের আলু চাষীদের অবস্থা দেখুন – তারাও দাম না পেয়ে রাস্তায় আলু ফেলে দিচ্ছেন।”
কয়েকদিন আগে ছত্তিশগড় এবং তেলেঙ্গানা ঘুরে এসেছেন এই কৃষি বিশেষজ্ঞ।
“সেখানে দেখলাম টমেটো চাষীরা ফসল নষ্ট করে ফেলছেন। মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষীদের অবস্থা তো দেখছিই। আসলে সরকার থেকে শুরু করে নীতি নির্ধারণকারী – সকলেই বলে চলেছেন যে ফলন বাড়াও। কিন্তু ফলন বৃদ্ধির পরে সেই ফসল কীভাবে বিক্রি করা হবে, তার কোনও নীতি নেই, স্বাভাবিকভাবেই দাম মুখ থুবড়ে পড়েছে।“
তিনি আরও বলছিলেন, “এটাকে আমি বলি চাষের ক্ষেতে রক্তগঙ্গা বইছে।“
কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবছর বাজেটে মার্কেট ইন্টারভেনশান স্কিম বা এমআইএসে অর্থ বরাদ্দ করে। ওই অর্থ দিয়ে এরকম পরিস্থিতিতে কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি দাম দিয়ে ফসল কিনে নেয় সরকার। গতবছর ওই খাতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল দেড় হাজার কোটি টাকা, আর এ বছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীথারামন হাস্যকর রকমের একটা বরাদ্দ রেখেছেন – মাত্র এক লক্ষ টাকা।
দেবেন্দ্র শর্মা বলছিলেন, শুধু অর্থ বরাদ্দ বা ন্যাফেডকে দিয়ে আপদকালীন ভিত্তিতে পেঁয়াজ কিনলে হবে না। প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা – যার মধ্যে কৃষি পণ্যের বাজারজাত করণ, আমদানি রপ্তানি নীতি – সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। তবেই সামাল দেওয়া যাবে ভারতের কৃষি ক্ষেত্রকে