বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘সরকারকে বিতাড়িত করার দরকার নেই। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আওয়ামী লীগ যদি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভ করতে পারে, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের শুভেচ্ছা জানাব।’
তিনি বলেন, ‘সরকার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে। সরকার যদি উন্নয়ন করে দেশকে ভাসিয়ে দিয়ে থাকে তাহলে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায় কেন?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারা যদি দেশের উন্নয়ন করে থাকে তাহলে জনগণ তাদেরকে ভোট দিয়ে আবারো নির্বাচিত করবে। কিন্তু তারা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চায় না। কেননা তারা জানে জনগণের সমর্থন তারা হারিয়েছেন। তারা এখন নতুন পন্থায় জোর করে নির্বাচনে জিতে পুনরায় সংসদে যেতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আর সেটা হতে দেবে না।’
মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র হরণ করেছে, মানবাধিকার হরণ করা হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই তারা বলে বেড়ায় মানুষ নাকি রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলে। এই সরকার বুঝতে পারে না সরকার এবং রাষ্ট্রের মধ্যে কী ব্যবধান! তাদের পলিটিক্যাল সাইন্সের বই পড়া উচিত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘পাকিস্তানের সময় ২২ পরিবার সম্পদ লুণ্ঠন করেছিল আর এখন বাংলাদেশে সম্পদ লুণ্ঠন করছে ২২০ পরিবার।’
মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে ভয় পায়। দেশের জনগণকে ভয় পায়। তারা মুখে যে কথা বলে কাজে তার উল্টোটা করে।’
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রদল সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাঈদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবির, জেলা বিএপির সহ-সভাপতি আব্দুল বাতেন, অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান, যুগ্ম সম্পাদক সত্যেনকান্ত পণ্ডিত ভজন, জেলা বিএনপির সাংগনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরতাজ আলম বাহার প্রমুখ।