প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে যে উন্নয়ন হয় তার অনেক প্রমাণ পেয়েছি। এর জন্য অনেক ধৈর্য থাকতে হয়। অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয়। অনেকে অনেক সমালোচনা করছেন। অবশ্য আমরাই এই সুযোগ করে দিয়েছি ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়ে। সোমবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
বিনিয়োগ সম্মেলনে বলা হয়েছে, উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যাতে বজায় থাকে। সামনে তা ধরে রাখা যাবে কি-না এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টাও হচ্ছে। তবে তা মোকাবিলা করার সক্ষমতাও আমাদের আছে। আমি মনে করি, এটি মোকাবিলা করবে দেশের জনগণ।
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান হচ্ছে কৃচ্ছতা সাধনের মাস। আমাদের সেই কৃচ্ছতা সাধনতো করতেই হবে।
পাশাপাশি আমাদের প্রতি ইঞ্চি জমি চাষ করতে হবে। খাদ্যাভাসও পরিবর্তন করতে হবে। সুষম খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়তে হবে। ভাত বেশি খাওয়া হলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে। সুষম খাদ্য খেতে হবে। শাক সবজি খেতে হবে।
আসন্ন নির্বাচন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ এখন ভালো আছে। তারা বলছে, এই সরকার থাকলেই ভাল। কিন্তু নির্বাচনে মানুষ ভোট দিলে আছি না দিলে নাই। এটি জনগণের ওপর নির্ভর করে।
নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অনেকগুলো এজেন্সি মুখিয়ে আছে। নির্বাচন যাতে অবাধ সুষ্ঠু হয় সেই উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। বিদ্যমান ব্যবস্থায় যে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে পারে তা আমরা প্রমাণ করেছি। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে দিতে পেরেছি।
নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনিও কিন্তু পোড় খাওয়া মানুষ। ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিবাদ করে জেল খেটেছেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার সততা আছে। ব্যক্তিত্ব আছে। তিনি অবশ্যই একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক কাতার সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন।