নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি কামরুজ্জামান উজ্জ্বল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলমের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
পরে পুলিশ নারায়ণ চন্দ্র দে (২৮) নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করে। নারায়ণ দে আগিয়া ইউনিয়নের বুধি গ্রামের দয়াল চন্দ্র দে’র ছেলে। তিনি মামলার প্রধান আসামি মাসুদ আলম তালুকদারের সমর্থক।
স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার বিকালে পূর্বধলা খাদ্যগুদাম রোড এলাকায় ওই দুই যুবলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আহত দুজনই স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীকের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
আহতদের অভিযোগ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মাসুদ আলমের লোকজন এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযুক্ত মাসুদ আলমও এমপি ওয়ারেসাত হোসেনের সমর্থক। হামলার পরপরই এমপির সমর্থক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা সংঘটিত হয়ে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা খাদ্যগুদাম এলাকায় মাসুদ আলমের বাসার সামনে জড়ো হয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
শনিবার দুপুরেও ঘটনার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহ পূর্বধলা বাজারের বিভিন্ন সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। হামলায় গুরুতর আহত নেতারা বর্তমানে ঢাকা ট্রমা সেন্টার ও বিশেষায়িত অর্থপেডিক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে মামলার পর পর ওইদিন রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলা শহরের সাতপাই এলাকা থেকে নারায়ণ দে নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে। পরে শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় মাসুদ আলম তালুকদারকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।