শ্যামনগর প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নোডোর আঘাতে নিখোঁজ রুহুল আমিনের (৫০) মৃতদেহ শুক্রবার সকাল থেকে কালিন্দি নদীতে ভাসছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধারে কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম লোকজন ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রুহুল আমিন উপজেলার পূর্ব কৈখালী গ্রামের মৃত রমজান আলী গাজীর ছেলে। মাছ ধরতে নদীতে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ টর্নেডোর তান্ডবে নৌকাসহ রুহুল আমিন নদীতে তলিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা গোটা এলাকায় তল্লাশী করা সত্তে¡ও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত রুহুল আমিনের হদিস মেলেনি।
কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে তারা কালিন্দি নদীতে তল্লাশী শুরু করেন। শুক্রবার বেলা ৮টার দিকে ভাটার সময় রুহুল আমিনের মৃতদেহ কালিন্দি নদীর ভারতীয় অংশের শমসেরনগর বিএসএফ ক্যাম্পের সামনের চরে পড়েছিল। বিষয়টি শমসেরনগর বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে নিশ্চিত করার পর আবার জোয়ারের সময় মৃতদেহ তলিয়ে যায়। ডুবুরী নিয়ে তারা ১৪/১৫ সহযোগীকে নিয়ে সেখানে রুহুল আমিনের মৃতদেহের সন্ধান করছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরের এক মিনিট স্থায়ী টর্নেডোতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ও রমজাননগর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম। এসময় শতাধিক বাড়িঘর সম্পূর্ণ এবং তিন শতাধিক আংশিক বিধ্বস্ত হয়। একই সময়ে তিন জেলে নদীতে নিখোঁজ হলে দু’জনকে নৌ-পুলিশ উদ্দার করতে সক্ষম হলেও রুহুল আমিন নিখোঁজ থাকে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আক্তার হোসেন জানান রুহুল আমিনের মৃতদেহ ভাসতে দেখার খবরে চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। এছাড়া কোস্টগার্ডসহ নৌ-পুলিশ সদস্যরা রুহুল আমিনের সন্ধান অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরও জানান তিন শতাধিক বাড়িঘর সম্পূর্ণ এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Check Also
আশাশুনি সদর ইউনিয়ন জামায়াতের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি প্রতিনিধি।।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন করা …