ইউক্রেনে আরও ভয়ংকর অভিযানের ছক কষছে রাশিয়া। আর সে লক্ষ্যে ইউক্রেনে আরও চার লাখ সেনা মোতায়েন করবে মস্কো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গকে এ তথ্য জানিয়েছে একটি সূত্র।
ইউক্রেনে রুশ সেনাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এই নিয়োগ অনিবার্য হয়ে উঠছে বলেই জানানো হয়েছে। সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেও ইউক্রেনে আগ্রাসন দেখানো ছাড়া উপায় নেই। তবে চলতি বছর নতুন করে চার লাখ সেনা নিয়োগ দেওয়ার সামর্থ্য নিয়েও সংশয় প্রকাশ করছেন অনেকে।
কারণ, এই সংখ্যা গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর আগে রাশিয়ার মোট পেশাদার সৈন্যসংখ্যার প্রায় সমান। গত বছরের ডিসেম্বরে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ তারা সেনাসংখ্যা পাঁচ লাখ ২১ হাজারে উন্নীত করতে চায়। যে কারণে সেনা নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও আনা হয়েছে পরিবর্তন।
এদিকে ইউক্রেনের দনবাস প্রদেশের বাখমুত শহর দখলে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে রুশ বাহিনী-এমনটাই দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এ ছাড়া বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক হচ্ছে’ বলেও দাবি করেছেন ইউক্রেনের কমান্ডার ইন চিফ ভেলারি ঝালুঝনি। এ মাসের শুরুতে পশ্চিমা কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, বাখমুত দখলে এসে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ হাজার রুশ সেনা আহত বা নিহত হয়েছেন। তাদের তীব্র হামলা সত্ত্বেও ‘অসাধারণ প্রচেষ্টার’ মাধ্যমে বাখমুতে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছেন ইউক্রেনের সেনারা।
সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো সাফল্য না পাওয়ায় একটি জয় পেতে মুখিয়ে আছে রাশিয়া। এ কারণে বাখুমত দখল করতে চেয়েছিল তারা। যদিও পশ্চিমা বিশ্লেষকদের মতে, কৌশলগতভাবে বাখমুতের গুরুত্ব কম। এটি দখল করতে পারলে একটি ‘প্রতীকী’ বিজয় পেত রুশ বাহিনী। বাখমুতের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে এক ফেসবুক পোস্টে ইউক্রেনের কমান্ডার ইন চিফ বলেছেন, ‘যুদ্ধের সম্মুখভাগে ইউক্রেনের জন্য বাখমুতের দিকটি সবচেয়ে কঠিন। আমাদের সেনাদের অসাধারণ প্রচেষ্টার কারণে, আমরা সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারছি।’