নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের এক পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে ছয়টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর থেকে পাসপোর্ট যাত্রী কার্ড করা হয়। আটকের পর তার পাইপ থেকে ছয়টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। আটককৃত স্বর্ণ পাচারকারী নড়াইল জেলার কালিয়া থানার মাউলী গ্রামের বিকাশ কুমার পালের ছেলে শুভঙ্কর পাল (২২)।
ভোমরা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বৈধ রুট দিয়ে ভারতে বিরাট আকারের স্বর্ণ চালান পাচার হচ্ছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোমরা কাস্টমস্ গোয়েন্দা ও বেনাপোলের স্পেশাল কাস্টমস্ গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল এর যৌথ টিমের অভিযানে ভোমরা কাস্টমস্ সংলগ্ন এলাকা থেকে একজন বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীকে আটক করা হয়।
ভোমরা কাস্টমস্ গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা সেলিম চৌধুরী জানান, প্রাপ্ত গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে শুক্রবার, ১৭ মার্চ সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ভোমরা কাস্টমস্ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেয় ভোমরা ও বেনাপোলের স্পেশাল কাস্টমস্ গোয়েন্দা টিম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উভয় কাস্টমস্ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানতে পারেন যে, সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর রুট দিয়ে সুকৌশলে অভিনব কায়দায় ভারতে স্বর্ণ পাচার হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে কাস্টমস্ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাস্টমস্ এলাকায় অবস্থান নেয়। এ দিকে কাস্টমস্ এলাকা অতিক্রম করে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে প্রবেশ কালে স্বর্ণ পাচারকারি সুভংকর পালকে গতিরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার নিকট বহণকৃত স্বর্ণের কথা অস্বীকার করলে তার দেহ ও ব্যাগ তল্লাশী করার পর ভোমরা কাস্টমসের ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিনে ব্যাগ স্ক্যান করা হয়। এরপর পাসপোর্ট যাত্রী সুভংকর পালকে সাতক্ষীরার ডক্টরস ল্যাব ও হসপিটালে নিয়ে গিয়ে তার শরীর এক্সরে করে পায়ুপথে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পুনরায় তাকে ভোমরায় নিয়ে এসে তার পায়ুপথ লাল ও কালো রংয়ের স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৬টি স্বর্ণবার উদ্ধার করে
আটককৃত স্বর্ণের বাজার মূল্যে ৪৩ লক্ষ্য ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে কাস্টমস্ গোয়েন্দা কর্র্তৃপক্ষ। ধৃত পাসপোর্ট যাত্রী সুভংকর পাল অভিনব কায়দায় অবৈধ ভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে আদায়যোগ্য শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ৬শ গ্রাম স্বর্ণ বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে ভোমরা কাস্টমস্ গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ সেলিম চৌধুরী বাদী হয়ে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারা ২৫(বি) এর ১(এ) ধারায় মামলা দিয়ে তাকে সাক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করেন এবং জব্দকৃত স্বর্ণ সাতক্ষীরা কাস্টমস্ গোডাউনে জমা দেন।