রাজধানীর একটি কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রে তারাবির নামাজ থেকে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করলে আদালত ১১ জনকে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৩ শিশুসহ ২জন নারী ও ৩ জন কোরআনের হাফেজ রয়েছেন। রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হোসাইন বিন মানসুর (৩৩), মুফতি রহতুল্লাহ বিন তোফাজ্জল হোসেন (৪৭), আব্দুলা আল মাহফুজ (৩৩), এ কে এম আব্দুস ছালাম (৬৫), সাইমুম জামি (২৫), মো. হাফিজুর রহমান (৬৬), আনজুম বিন কালাম (২৪), নুর মোহাম্মদ মনির (৩৫), মো. সালাউদ্দিন সাব্বির (১৯), আব্দুর নূর নূরনবী ও মো. নাসির উদ্দিন (২৩)। এ ছাড়া অপর ২ নারী ও ৩ শিশুসহ বাকি ৫ আসামির রিমান্ড আবেদন করা হয়নি। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
জানা গেছে, গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের শাহজাদপুরের সুবাস্তু মার্কেট সংলগ্ন ইসলামিক এন্টারপ্রাইজ (কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র) থেকে তারাবির নামাজ থেকে ৩ ইমামসহ তাদের আটক করে নিয়ে যায় গুলশান থানা পুলিশ। পরে বিশেষ ক্ষমতা এবং বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের গুলশান থানার ৩১ (৩) ২৩ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। পুলিশ ১নং আসামি থেকে ১১নং আসামির রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
জানা গেছে, ইসলামিক এন্টারপ্রাইজ বা কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রটি দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা পরিচালনা করে আসছেন। এখানে বয়স্কদের কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসে পুরুষ ও নারীরা পৃথক ব্যবস্থাপনায় তারাবির নামাজ আদায় করে থাকেন।
এ বিষয়ে গুলশান থানার ওসি ফরমান আলী জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই জামায়াতের নেতাকর্মী।
তারা সেখানে বসে সরকারের পতনের জন্য পরিকল্পনা করছিল। এজন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।