ঢাকাই সিনেমার একজন জনপ্রিয় মুখ চিত্রনায়িকা মৌসুমী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, তিনি মারা গেলে তার লাশ যেন কেউ না দেখে এবং তার ছবি যেন সবাই ডিলিট করে দেয়। এ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ইসলামি বক্তা আসসুন্নাহ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড আইডি থেকে বিষয়ে একটা পোস্ট করেছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে আহমাদুল্লাহ বলেছেন, ‘অভিনয় জীবনের ৩০টি বছর পার করার পর বাংলাদেশের সুপরিচিত এক অভিনেত্রী দর্শকদের কাছে অনুরোধ করেছেন, যাদের কাছে তার ‘ধুমধাড়াক্কা’ ছবি (সিনেমা) সংরক্ষিত আছে, মৃত্যুর পর সবাই যেন তা ডিলিট করে দেয়। তাছাড়া মৃত্যুর পর তার লাশ যেন কেউ না দেখে, দ্রুত গোপনে যেন তাকে দাফন করা হয়- এমন অনুরোধও ব্যক্ত করেছেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে এদেশের সর্বসাধারণের মধ্যে দ্বীন পালনের যে আকাঙ্ক্ষা পরিলক্ষিত হচ্ছে, এই ঘটনা তারই ধারাপরম্পরা।’
ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আলোচিত এ নায়িকা স্টুডিওতে বসে ক্যামেরার সামনে যখন কথাগুলো বলেন, তখন ক্যামেরার পেছনে কোনো ক্যামেরাম্যান ছিল না। নায়িকাকে নির্জনে বিশেষ কিছু বলবার জন্যে উপস্থাপক বেরিয়ে গিয়েছিলেন স্টুডিও থেকে। এমন একান্ত মুহূর্তে গভীরভাবে লালন করা আত্মগত বিশ্বাসই মানুষ নিবিড়ভাবে ব্যক্ত করে। যেন নিজের সাথে নিজের গোপন বিশ্বাসের কথা বলা। নায়িকার এই উপলব্ধিকে আমরা স্বাগত জানাই।’
তিনি বলেন, ‘নারী-স্বাধীনতার মুখরোচক স্লোগানে আত্মহারা হয়ে অনেক বোন নারীত্বের খোলস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। যাকে তারা মুক্তির উজ্জ্বল দীপশিখা ভেবে উন্মত্ত হন, দিন শেষে বুঝতে পারেন, আসলে তা অগ্নিগহ্বর ছাড়া কিছু নয়। কিন্তু সেই উপলব্ধি আসতে আসতে জীবনের অনেক কিছুই তারা হারিয়ে ফেলে। আলোচিত নায়িকা তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।’
আহমাদুল্লাহ আরো বলেন, ‘প্রিয় বোন, এমন ক্যারিয়ার গড়বে না, যেখান থেকে দ্বীনে ফিরে আসাটা দুর্গম গিরি, কান্তার মরু পাড়ি দেয়ার মতো কঠিন হয়ে যায়। লাইফস্টাইল ও ক্যারিয়ার বাছাইয়ে সতর্ক না হলে হয়ত এমন দিন আসবে, যখন আপনার বোধোদয় হবে, কিন্তু পৃথিবীর বুক থেকে আপনার পাপের চিহ্ন মুছে ফেলতে পারবেন না। সেদিন আপনার আফসোসই বাড়বে শুধু।’