বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ঈদের আগে রমজান মাসে এতগুলোর মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর কান্না সহ্য করার মতো নয়। আজ দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধের প্রথম চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কিছু মানুষের বাধার কারণে বঙ্গবাজারে সুপরিকল্পিত মার্কেট করা যায়নি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে কষ্ট লাগে বঙ্গবাজারে একবার ১৯৯৫ সালে আগুন লাগে। এরপর ২০১৮ সালে আবার আগুন লাগে। তারপর আমরা এখানে সুপরিকল্পিত মার্কেট করবার প্রকল্প গ্রহণ করি। তখন বেশ কিছু লোক বাধা দেয়। শুধু বাধা নয়, একটা রিটও করে। এবং হাইকোর্ট এটাকে স্থগিত করে দেয়। সে সময় যদি এটা স্থগিত না করতো, তাহলে আমরা এখানে একটা ভালো মার্কেট তৈরি করে দিতে পারতাম।
এই ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা তাহলে আর ঘটতো না ঈদের আগে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অনুদান দেয়ার আশ্বাস দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ইতিমধ্যে বলে দিয়েছি আমরা যতটুকু পারি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্য করবো। এবং কার কী রকম ক্ষতি হয়েছে তা আমরা দেখবো।
বঙ্গবাজারে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার ব্রিগেডে হামলাকারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আমি বলব আমাদের দেশের কিছু লোকের আচরণ আমাকে ক্ষুব্ধ করেছে। যখনই আগুন লেগেছে, ফায়ার ব্রিগেড সেখানে চলে গিয়েছে আগুন নেভাতে। এর সঙ্গে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, আনসার বাহিনী, ভলান্টিয়ার প্রত্যেকে সকাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। কথা নেই বার্তা নেই, দুপুরের পর একদল লোক লাটিসোটা নিয়ে ফায়ার সার্ভিস অফিসের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো শুরু করে। যারা ফায়ার ব্রিগেডে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হবে।