বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাওলানা মুহাম্মদ শাহজান বলেছেন, বদরের যুদ্ধ ছিল হক ও বাতিলের চূড়ান্ত লড়াই। মুসলমানরা ঈমানি পরীক্ষায় বিজয়ী হন। কেয়ামত পর্যন্ত এ বিজয় মুসলমানদের জন্য অনুকরণীয় মডেল। তাই বিশ্ব মুসলমানের উচিত, বদরের চেতনা থেকে অন্যায়ের প্রতিরোধ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আপসহীন দীক্ষা গ্রহণ করা। বাংলাদেশ মসজিদ মিশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে আযোজিত ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ মসজিদ মিশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর বারীর সভাপতিত্বে রোববার (৯ এপ্রিল) ভার্চৃৃয়ালি অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন , বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের উপদেষ্টা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক ও মুহাদ্দিস রবিউল বাশার। সভায় অন্যান্যেও মধ্যে বক্তব্য রাখেন,মাওলানা আজিজুর রহমান, মাওলানা আব্দুল মজিদ, মাওলানা ওমর আলী, মাওলানা াামিনুর রহমানসহ অনেকে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ শাহজান বলেন,বদরের যুদ্ধ ছিল হক ও বাতিলের চূড়ান্ত লড়াই। এই যুদ্ধের মাধ্যমে হক বাতিল চিরদিনের জন্য পৃথক হয়ে যায়। মক্কার জীবনে চরম নির্যাতনের মধ্যেও রাসূলুল্লাহ সা: সাথীদের নিয়ে বাতিলের সাথে আপস করেননি। সীমাহীন ধৈর্যের মাধ্যমে নীরবে সব নির্যাতন সহ্য করেছেন। একপর্যায়ে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেই ইসলামী রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার জন্য মক্কার কাফেররা বদর প্রান্তরে এলে ইসলামী ইতিহাসের প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ ‘বদর যুদ্ধ’ সংঘটিত হয়। মুসলমানরা ঈমানি পরীক্ষায় বিজয়ী হন। কেয়ামত পর্যন্ত এ বিজয় মুসলমানদের জন্য অনুকরণীয় মডেল ।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, বদর যুদ্ধের চেতনায় দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। সম্মান-অপমান আল্লাহর হাতে। এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, তারা সংখ্যায় বা সম্পদে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। তিনি বলেন, বদরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আল্লাহদ্রোহী শক্তির মোকাবেলায় ময়দানে নেমে আসতে হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাদ্দিস রবিউল বাশার বলেন, বদরের যুদ্ধ ছিল আত্মরক্ষার্থে, সত্যের পক্ষে, নিপীড়িতদের পক্ষে, মানবকল্যাণের নিমিত্তে। এ যুদ্ধের মাধ্যমে মুসলিমরা সংখ্যায় অনেক কম হয়েও মক্কার কাফের শক্তিকে পরাজিত করে বিজয়ের সূচনা করেছিল। এ যুদ্ধে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য সূচিত হয়ে যায়। তাই আগামিতেও বদরের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে একটি কল্যান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করতে হবে। প্রেবিজ্ঞপ্তি।