পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মনে করেন, পশ্চিম পাকিস্তানে গণতন্ত্র না থাকার কারণেই দেশটি থেকে পূর্ব পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। রবিবার এক ভাষণে পাকিস্তানে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের উপর সরকারের অবৈধ হস্তক্ষেপের উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান ম্যান্ডেট পাওয়ার পরও সে ম্যান্ডেট গৃহীত না হওয়ার ফলস্বরূপ পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গে যায়।
দীর্ঘ বক্তৃতায় পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক দুর্দশা এবং নিজ দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর উপর শাসকগোষ্ঠীর নানা অত্যাচার-অনাচারের ফিরিস্তি তুলে ধরে বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্যাপ্টেন থেকে দেশটির ক্যাপ্টেন (প্রধানমন্ত্রী) বনে যাওয়া ইমরান খান এক পর্যায়ে বলেন, “পিটিআইকে ধ্বংসের সব ধরনের অপেচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু এভাবে কোনো রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস করা যায় না। এতে আর কিছুই নয়, সারা দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে।”
১৯৬৫ সালে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ইমরান খান বলেন, “আইয়ুব খানের (পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট) বিপরীতে যখন ফাতেমা জিন্নাহ (পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ’র বোন এবং সাবেক বিরোধী দলের নেতা) নির্বাচনে দাঁড়ালেন তখন তাকে হারাতে হেন কোনো অপচেষ্টা নেই যা করা হয় নি। তাতে কি ক্ষতি হলো? ওদিক থেকে শুরু হলো পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচন। মুজিবুর রহমান ফাতেমা জিন্নাহর সাথে ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তান ফাতেমা জিন্নাহকে ভোট দিয়েছিল। এখানে (পশ্চিম পাকিস্তানে) সবকিছু করে তাকে হারানো হলো। তাতে কি লাভ হলো? দেশ ভাগ হয়ে গেলো। কারণ, সেই মুজিবুর রহমান শেষমেশ নির্বাচনে জিতে গেলেন।
কারণ, তিনি বললেন, সেখানেতো (পশ্চিম পাকিস্তানে) গণতন্ত্রই নেই, সেখানেতো আমাদের কথা বলার সুযোগই নেই। ১৯৭০ সালে সবার ভাষায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জিতে গেলেও ম্যান্ডেট মানা হলো না। দেশটাও ভেঙ্গে গেলো।”