- কলারোয়ায় নাশকতা মামলায় ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে। এছাড়া শ্যামনগরে আটক করা হয়েছে দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে।
কলারোয়ায় আটককৃতরা হলেন গাজনা গ্রামের মৃত ইমান আলী সানার ছেলে মফিজুর রহমান (৪৩), ওমর আলী সানার ছেলে আব্দুল মালেক (৪০), তরুলিয়া গ্রামের আব্দুল গফুর গাজীর ছেলে দবীর উদ্দিন (৪২), ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে কামরুজ্জামান শাহীন (৪২), মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪৫), সোনাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম সরদারের ছেলে মিলন শাহানুর (৪২), ব্রজবাকসা গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে আমানুল হক (৪৮), চান্দুড়িয়া গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে সালাম মাহমুদ (৪০), কাদপুর গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে আতাউর রহমান (৪০), রুদ্রপুর (তেলকাড়া) গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩০), বাগাডাঙ্গা গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে সাইকুল ইসলাম (৫০), আশরাফ আলী গাজীর ছেলে আস্তানুর রহমান (৫০), দেয়াড়া (দফাদার পাড়া) গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে মো. কবির আহমেদ (৫০)। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান,
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. সজীব খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে থানার অফিসার ফোর্সের অভিযানে তাদের আটক করা হয়েছে।
এদিকে শ্যামনগর থানার পুলিশ নাশকতা মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার ভোরের দিকে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাজিবের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা নিজ নিজ বাড়ী থেকে দুই চেয়ারম্যানকে আটক করে।
আটককৃত দুই চেয়ারম্যান হলেন- শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান জি.এম মাছুদুল আলম এবং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
চেয়ারম্যান জি.এম মাছুদুল আলম, শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং নজরুল ইসলাম জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত।
শ্যামনগর থানার ওসি মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নাশকতার মামলায় দুই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।