সুদানের রাজধানীতে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ এবং নিয়মিত সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রাণঘাতী লড়াইয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতোমধ্যেই সংঘর্ষে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৮৫ জনের। এছাড়াও সংঘর্ষের ফলে আরও অন্তত এক হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দুই বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলার পর শনিবার (১৫ এপ্রিল) হঠাৎ করে লড়াই শুরু হয়। এরপর সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং খার্তুমের রাস্তা নির্জন হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, আধাসামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে তারা প্রেসিডেন্টের বাসভবন, বিমানবন্দরসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের দখল নিয়েছে।
এদিকে, সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর এই সংঘর্ষে এরই মধ্যে জাতিসংঘের অধীনস্থ ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এর পরপরই সাময়িকভাবে দেশটিতে সব পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস দেশটিতে চলা এই পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
সুদানে প্রস্তাবিত বেসামরিক সরকারে কে একীভূত সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করবেন- তা নিয়ে বিবাদ তৈরি হয়েছে। যেখানে একটি বেসামরিক সরকার পুনপ্রতিষ্ঠা করার জন্য বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে মতৈক্যে পৌঁছানোর এক চেষ্টা ব্যর্থ হয়- যার পেছনে আরএসএফের ১ লাখ সদস্যকে সেনাবাহিনীতে
সামরিক বাহিনীর এ দুই অংশের মধ্যে সংঘাতের একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার আরএসএফ উত্তরের মেরওয়ে শহরের একটি সামরিক ঘাঁটির কাছে তাদের সেনাদের মোতায়েন করে। সুদানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান বলেছেন, তিনি তার ডেপুটি এবং আরএসএফের অধিনায়ক মোহামেদ হামদান দাগালোর সাথে আলোচনা করতে ইচ্ছুক।জেনারেল বুরহান ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুদানের বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হবার পর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক তোলপাড় চলছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা।