ক্রাইমবার্তা নির্যাতিত মানুষের পাশে
সাতক্ষীরা ও কলারোয়া প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুটি মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দনসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার জেলা আদালত চত্বর থেকে তাদের আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাড়ি বহর হামলা মামলার রায় ঘোষণার পরে আদালত চত্বরে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ সময় জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানা ও কলারোয়া থানায় দুটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও কয়েকজনকে আটক করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ দিকে কলারোয়া উপজেলায় নাশকতার মামলায় ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার গাজনা গ্রামের মৃত ইমান আলী সানার ছেলে মো. মফিজুর রহমান, একই গ্রামের ওমর আলী সানার ছেলে আব্দুল মালেক, ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের গফুর গাজীর ছেলে দবীর উদ্দিন (৪২), একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. কামরুজ্জামান শাহীন (৪২), একই গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪৫), সোনাবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম সরদারের ছেলে মো. মিলন ওরফে শাহানুর (৪২), ব্রজবাকসা গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে আমানুল হক, চান্দুড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সালাম মাহমুদ, কাঁদপুর গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে আতাউর রহমান, রুদ্রপুর তৈলকাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আরিফুল ইসলাম, কাগাডাঙ্গা গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম, একই গ্রামের আশরাফ আলী গাজীর ছেলে আস্তানুর রহমান, দেয়াড়া গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে কবির আহমদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
