সুদানে সামরিক সংঘাত ষষ্ঠ দিনে প্রবেশ করেছে। এমনকি পবিত্র ঈদুল ফিতরের রাতেও বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটে। যদিও ঈদ উপলক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির কথা শোনা যাচ্ছিল। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইতোমধ্যে দেশটিতে তিন শতাধিক নিহত এবং তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সুদানের সামরিক বাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী র্যা পিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফের মধ্যে গত শনিবার থেকে চলছে ক্ষমতার লড়াই।
চলমান সংঘাতের এক পক্ষে রয়েছেন সুদানের সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপরপক্ষে রয়েছেন তারই ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলো। গত শনিবার থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা আহমাদ আল-মান্দারি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের সংঘাতে কমপক্ষে ৩৩০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে ৩ হাজার ২০০ এর বেশি মানুষ। হতাহতদের মধ্যে বহু বেসামরিক নাগরিক রয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সুদানের চলমান সংঘাত প্রধানত রাজধানী খার্তুম, পশ্চিম দারফুর অঞ্চল এবং অন্য কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এ সময় খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সেনা সদর দপ্তরের আশপাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখা যায়।
খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী খার্তুমের আশপাশ এবং অন্যান্য অঞ্চলে আরএসএফ যোদ্ধারা ট্যাংক এবং মেশিনগান-সজ্জিত পিকআপ নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছেন। জীবন বাঁচাতে অনেকেই রাস্তায় গাড়ি ফেলে পালাতে বাধ্য হয়।
গত ছয় দিনের সংঘর্ষের কারণে সুদানে এরই মধ্যে বিদ্যুৎ, খাদ্য, পানি এবং ওষুধের মতো জরুরি পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের বেশিরভাগই নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়িতে অবস্থান করছেন। কাজ-কর্মের সন্ধানে বাইরে যেতে না পারায় আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।