পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় তরুণীর চিৎকারে আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে এক পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিন দিন আগে এক তরুণীকে নিয়ে স্বামী ও স্ত্রী পরিচয়ে কুয়াকাটার সোনার বাংলা আবাসিক হোটেলে ওঠেন ওই যুবক।
রোববার সকাল ১০টার দিকে ওই পর্যটকের সঙ্গে থাকা এক নারীর ডাক চিৎকারে হোটেল কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসে। এ সময় হোটেলের মেঝেতে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা পুলিশে খবর দেয়।
মৃত পর্যটক রিপন বিশ্বাস (২৯) সাভার আশুলিয়ার চৌগাছা এলাকার মাধব চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন।
আবাসিক হোটেল সোনার বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত ২০ এপ্রিল কুয়াকাটায় বেড়াতে এসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রিপন ও নুপুর তাদের হোটেলের ১০৫ নম্বর কক্ষে ওঠেন।
এদিকে নূপুরের দাবি, তিনি মৃত রিপন বিশ্বাসের দ্বিতীয় স্ত্রী। পুলিশের কাছে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাতে তারা দুজনে একসঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। রোববার সকাল ১০টার দিকে ঘুম ভাঙ্গলে তার ওড়না দিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন রিপনকে। এ সময় তিনি দ্রুত মেঝেতে নামিয়ে ফেললেও ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়।
কুয়াকাটা জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক হাচনাইন পারভেজ জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পর্যটকের লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেছেন। সঙ্গীয় স্ত্রী পরিচয়দানকারী এক নারী তখন সেখানে অবস্থান করছিল। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে আপাতত ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশ মহিপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের ওই কর্মকর্তা