শ্যা্মনগর প্রতিনিধি :
ভারতীয় জল সীমায় দূর্ঘটনার কবলে পড়ে ৯জন নাবিকসহ ৩ মাস আটকে থাকা বাংলাদেশ জাহাজ এমভি রাফসান হাবিব-৩ কে উদ্ধার করা হয়েছে। ২৮ এপ্রিল শুক্রবার নীলডুমুর ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা নাবিকসহ ওই জাহাজটি উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।
২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় নীলডুমুর ১৭ বিজিবি’র পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশী জাহাজ রাফসান হাবিব-৩(এম নং ০১-১২৮০) ৯জন নাবিকসহ ভারতীয় জল সীমায় দূর্ঘটনায় পড়ে। ফলে ভারতীয় জলসীমার ভেতরে হেমনগর এলাকায় দীর্ঘ ৩মাস যাবত আটকা পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিল ৯ জন নাবিক।
বিষয়টি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) অবগত হয়ে নাবিকসহ জাহাজটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। পরবর্তীতে নীলডুমুর ১৭ বিজিবি’র সার্বিক সহায়তায় বিএসএফ-বিজিবি’র ব্যবস্থাপনায় কাচিকাঠি খাল দিয়ে দূর্ঘটনা কবলিত জাহাজসহ ৯ নাবিককে উদ্ধার করে নাবিকদের চিকিৎসা সেবা ও খাদ্য প্রদান করা হয়।
উদ্ধার হওয়া নাবিকরা হলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী গ্রামের মোস্তফার পুত্র আবুল কাশেম, একই গ্রামের মোক্তার হোসেনের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন অপু, সামসেদ আলমের পুত্র আজমীর হোসেন মুন্না, লুদ্দাহখালী গ্রামের মো: সাইফুল্লাহ’র পুত্র ইউসুফ, মধ্যম সালারাট গ্রামের হাফিজ মিয়ার পুত্র বেলাল হোসেন, পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের মো: ওয়াসিমের পুত্র তাবাচ্ছুম ইউসুফ, ফরিদপুর জেলার গোপালপুর গ্রামের মো: মিন্টু খানের পুত্র ফাহিম খান, নড়াউল জেলার চরদিঘলিয়া গ্রামের ওলিয়ার রহমান শেখের পুত্র জাহাঙ্গীর শেখ এবং ঝালকাঠি জেলার মৃত. কাদের হাওলাদারের পুত্র জাকির হোসেন হাওলাদার।
নীলডুমুর ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল কামরুল আহসান জানান, ৯জন নাবিকসহ জাহাজটি উদ্ধার করে ২৮ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জাহাজটিসহ নাবিকদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।