কাছের মানুষ
বিলাল মাহিনী
খুব কাছ থেকে দেখেছি কাছের মানুষগুলোকে
নিদারুণ দুঃখ-কষ্টের সময়
আবার সুখের সময়ও
দুঃখ-কষ্টের সময় পাইনি তেমন কাউকে
হৃদয়হীনার কারাগারে যখন ঢুকরে কেঁদেছি
ছোট্ট সোনমনিরা যখন স্নেহ-ক্ষুধায় জ্বলেছে
নিদ্রাহীন রজনী পার করেছে বিরহীনী
তখনও কেউ আসেনি স্নেহ বুলোতে, সান্ত্বনা নিয়ে
কী এক আজব সময় পার করছি আমরা !
খুব কাছের মানুষগুলোই সবচে’ বেশি দুঃখ দেয়,
বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন, গুরু-শিষ্য
কেউ-ই চায় না, অপর কেউ তার থেকে ভালো থাকুক
একাকিত্বের সারি দীর্ঘ হচ্ছে
বেদনার বায়ু মরুধূলোর সাথে বইছে
বহু মানুষ ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে-
পাশের কারো সম্মান সৌন্দর্য বা বিত্ত বাড়লে;
দূরের মানুষের জন্য সময় শ্রম মেধা বিনিয়োগ করে নিঃসংকোচে,
কিন্তু নিজ ভাই, বন্ধু, আপনজন কোনো ভালো কাজে ডাকলে
দূরে সরিয়ে রাখে নিজেকে…
আপন ঘর ভেঙ্গে অপরের ঘর গড়ে দেয় অবলীলায়
হতে পারে এই ভেবে যে-
‘ও আমার চেয়ে ভালো থাকবে কিংবা আমার উপরে উঠে যাবে!
না, না, এ হতে পারে না’
তাই ঈর্ষায় জ্বলে-পুড়ে মরে মানুষ
এই মানুষগুলো সামনে ফেরেস্তা বনে যায় !
আড়ালে-আবডালে কিভাবে নিজ ভাই বন্ধু-
প্রতিবেশী আপনজনকে দাবিয়ে রাখা যায়, সেই চিন্তায় মগ্ন।
তাইতো কবি বলেছেন- “আবার তোরা মানুষ হ”।