আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কোনো চাপ নেই বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগ। তবে কোনো বিষয়ে কোনো প্রকার চাপ দেখিনি। নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরামর্শ ছিল তাদের পক্ষে থেকে।’
রবিবার রাজধানীর সেতুভবনে সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দেবে এমন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় বিএনপি। ২০০১ ও ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছিল এমনটাই চাই তারা। তত্ত্বাবধায়কের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য হারানো এমন পক্ষপাতদুষ্ট তত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ চায় না।’
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিদেশি কোনো চাপ নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্যসহ কোনো বিদেশি বন্ধুরাষ্ট্র কোনো চাপ দেয়নি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অবতারণা করেনি।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। এই কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে বিএনপির সমস্যা কোথায়? নির্বাচন করার জন্য এই নির্বাচন কমিশনই যথেষ্ট। নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সর্বাত্মক চেষ্টা তাদের (ইসি) মধ্যে আছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার পর অনেক হয়রানি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আজকের দিনেই (৭ মে) ফিরে আসেন শেখ হাসিনা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তত্বাবধায়ক সরকার ৩ মাসের কথা বলে ২ বছর ছিল। নির্বাচনের আগেই তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগকে নানা হয়রানি করে প্রমাণ করেছিল তারা একটি নিদিষ্ট দলকে সাপোর্ট করে।’
‘আইনের মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়ে যায় সেই মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আবারও জীবিত করতে চায় বিএনপি। খালেদা জিয়া বলেছিলেন পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ তত্বাবধায়ক সরকার চায় না। যেহেতু সুষ্ঠু নিরপেক্ষ কেউ নেই, তাহলে বিএনপির কাছে নিরপেক্ষতা কি?’
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির কাছে নিরপেক্ষতা মানেই হলো বিএনপির পক্ষপাতিত্ব করা। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশেই তত্ত্বাবধায়ক নামের কোনো সরকার নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা বিএনপির গনতান্ত্রিক অধিকার। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করলে সকল প্রকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সংবিধান অনুযায়ী হবে।’
‘অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে বর্তমান সরকার নির্বাচন করবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলমান সরকার নির্বাচন করবেন। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, তাদের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।