আগামী সপ্তাহে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য গতিপথ নিয়ে বিস্তর আলোচনা, জল্পনা চলছে। কিন্তু কোথায় আছড়ে পড়বে, কত গতিতে আছড়ে পড়বে, সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।

বলা হয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কমছে। বাকি পড়ে থাকল তামিলনাড়ু, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ। এই তিন রাজ্যের মধ্যে কোথায় সেটি আঘাত হানবে, তা নিয়েই আশঙ্কা বাড়ছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানাচ্ছে, ‘মোখা’ আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ওড়িশায়। আর ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে চলেছে আগামী সপ্তাহেই। তবে পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশা যেখানে আছড়ে পড়ুক, ‘মোখা’র প্রভাব কিন্তু আরো বেশ কয়েকটি রাজ্যেও পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল এবং তামিলনাড়ুতে ভারি বৃষ্টিপাত হবে।

আরো বলা হচ্ছে, আগামী পাঁচ দিন শিলাবৃষ্টি হতে পারে পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, লাদাখ, কাশ্মীর, সিকিম, মহারাষ্ট্র, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, অসম, তেলেঙ্গানা। এই রাজ্যগুলোর জন্য সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে।

‘মোখা’র আছড়ে পড়ার সম্ভাব্য অঞ্চল বিশাল। তার গতিপথের মধ্যে ওড়িশা থেকে মিয়ানমার রয়েছে। তার মাঝে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ। ফলে এই বিশাল অঞ্চলের কোথায় ‘মোখা’ তাণ্ডব চালাবে, এখন সে দিকেই নজর আবহাওয়াবিদদের। বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছে, সেটি কলকাতা থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

যদি সেই ঘূর্ণাবর্তটি দক্ষিণ মিয়ানমারের দিকে এগোতে থাকে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশায় ঢুকতে খুব বেশি সময় নেবে না। ফলে আরো শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ পাবে ‘মোখা’। তবে যাত্রাপথ যদি দীর্ঘ হয়, সে ক্ষেত্রে এর শক্তি কিছুটা ক্ষয় হতে পারে। শুধু তাই-ই নয়, সমুদ্রের উপরিভাগের তাপমাত্রা যদি ঝড়ের শক্তিসঞ্চয়ের অনুকূল না হয়, তাহলে স্থলভাগে পৌঁছানোর আগেই ঝড়ের গতি কমে যেতে পারে।

বঙ্গোপসাগরের উপরিতলের তাপমাত্রা এখন ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ঝড়কে আরো শক্তিশালী করার পক্ষে অনুকূল।

বঙ্গোপসাগরের ওপর যে ঘূর্ণাবর্তটি সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রভাবে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হবে ৮ মে। তারপর সেটি ৯ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ৯-১০ মের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যে নিম্নচাপ অঞ্চলটি তৈরি হবে, তার প্রভাবে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৮-১১ মের মধ্যে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। মৎস্যজীবীদের ৭ মের মধ্যে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৬০-৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও কোথাও সেটি ১০০ কিলোমিটার বেগেও পৌঁছতে পারে।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।