এখনো আম আহরণ শুরু হয়নি আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আম বাজারজাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নাবী জাতের হওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে অন্তত দুই সপ্তাহ পর এই অঞ্চলের আম পরিপক্ক হয়। তাই আগের বছরগুলোর মতো এবারও আম আহরণের ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেনি স্থানীয় প্রশাসন।
গাছে আম পরিপক্ক হলেই শুরু হবে বাজারজাত। চলতি বছর প্রায় দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা আম বাণিজ্যের আশা করছে কৃষি বিভাগ। গত বছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা বৃদ্ধির আশা করছেন তারা। কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী জেলায় প্রায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়। গাছের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার। চলতি আম মৌসুমে চার লাখ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া বৈরী রূপ ধারণ না করলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
আম ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি মাসের শেষ দিকে গুটি আম বাজারজাত শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। গুটি আম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা মন দরে বিক্রি হতে পারে। আর গোপালভোগ ও ক্ষীরসাপাতা বা হিমসাগর ১৬০০ থেকে দুই হাজার টাকা মন দরে বিক্রি হতে পারে।
উদ্যোক্তা ইসমাইল খান শামিম জানান, এ বছর গাছে প্রচুর মুকুল এসেছিল। সে অনুপাতে গাছে তুলনামূলক ভালো ফলন হয়েছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমরা লাভের আশা করছি। তিনি হতাশা ব্যক্ত করে জানান, এ বছর হঠাৎ করে আমের প্লাস্টিক ক্যারেট ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে অন্তত অর্ধ কোটি টাকার ক্যারেট মজুদ করেছে। তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি শুরু করেছে। গত বছর প্রতি ক্যারেটের দাম ছিল ১১০ টাকা। অথচ আমের মৌসুম শুরু না হতেই ১৭০ টাকার নিচে কোনো ক্যারেট বিক্রি করছে না। আম মৌসুম শুরু হলে এই ক্যারেটের দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, চলতি বছর আমের জন্য অন এয়ার। এ কারণে এ বছর গাছে মুকুলের পরিমাণ বেশি ছিল এবং ফলনের পরিমাণও বেশি হয়েছে।