ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের স্থলভাগে উঠে এসেছে। আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তে এলাকার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে রোববার বিকাল ৩টায় মিয়ানমারের স্থলভাগে অবস্থান করছিল। সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকবে।
রোববার ভোরে এ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমারের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম শুরু করে। সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র ছিল কক্সবাজার বন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে। সে সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। উপকূল অতিক্রম করার পথে এ ঝড়ের বাতাসের শক্তি কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। জাপানের হিমাওয়ারি ৯ স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রোববার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় মোখার বেশিরভাগ অংশ স্থলভাগে উঠে এসেছে।