প্রেস বিজ্ঞপ্তি
সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি, জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ।
এ সময় প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, বিশ্ব মানচিত্র থেকে বাংলাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যে ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের উপর সে সময় দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বিদেশে থাকার সময় ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনা দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ প্রবাসজীবন কাটিয়ে আজকের এই দিনে দেশে ফেরেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর বিএনপি-জামায়াতের কুট কৌশলে আওয়ামী লীগে যে কোন্দল সৃষ্টি হয়েছিল। সেই পটভূমিতে দলে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছিল। সেই থেকে চার দশকের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন আমাদের নেত্রী। তাঁর নেতৃত্বে মেধাবী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রথম রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ সালে। এরপর ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারের রোল মডেল।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, ৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।
জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শেখ রবিউল ইসলাম রবির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক আব্দুল্লাহ সরদার, সদস্য সচিব মাহমুদুল আলম বিবিসি, পৌর ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি সমীর বসু, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আক্তারুজ্জামান মহব্বত প্রমুখ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সাইফুল ইসলাম, গাউস আলী, কামরুল ইসলাম, আকাশ হোসেন, মহিদ, রাজু প্রমুখ।