স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) হয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দিন। তিনি কুড়িগ্রামের রৌমারী সার্কেলে কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তার সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী সার্কেলের এএসপি মো. সোহেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী রিফাত জাহান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় ২০২২ সালের ২ অক্টোবর সোহেল উদ্দিন আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন নেন। পরে ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর আদালত এ মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তাই চাকরিবিধি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
মো. সোহেল উদ্দিন বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস (বিএসআর) পার্ট-১, বিধি-৭১ মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ তার বিরুদ্ধে জামিন নেওয়ার তারিখ থেকে কার্যকর হবে। ইতোমধ্যে পূর্ণ বেতনভাতা গ্রহণ করে থাকলে তা সমন্বয় করতে হবে।
এদিকে সোহেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাঁচ বছরের চাকরি জীবনের ৩ বছরেরও কম সময়ে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ গড়েছেন তিনি। এরমধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগও করেছেন। বাকি দেড় কোটির বেশি টাকা রয়েছে নগদ ও ব্যাংক হিসাবে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিয়েছেন আড়াই কাঠা জমি। এর বাইরেও তার রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অলঙ্কারাদি।
এই সম্পদ গড়তে অর্থ আত্মসাৎসহ পদে পদে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এখানেই থেমে থাকেননি। আগের বিয়ে গোপন করে করেছেন দ্বিতীয় বিয়ে। আবার দ্বিতীয় বিয়ে গোপন রেখে জড়িয়েছেন একাধিক অবৈধ সম্পর্কে।তাদের থেকেও হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
পুলিশ সদর দপ্তরে এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে দেওয়া এক নারী বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তার অভিযোগের সূত্র ধরে যুগান্তরের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য।