আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কাউকে আক্রমণ করবে না। তবে আক্রান্ত হলে পালটা জবাব দেবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, নেত্রীর নির্দেশ সংঘাতে যাওয়া যাবে না। আমরা সংঘাত করব না, কিন্তু আঘাত এলে চুপ করে বসে থাকব? কেউ যদি গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে আসে চুপচাপ থাকব? আঘাত এলে পালটা আঘাত দেব না?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আশ্বস্ত করে বলেন, গাজীপুরসহ সব সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। কেউ আসুক বা না আসুক একই ধারা আগামী জাতীয় নির্বাচনেও থাকবে। এই নির্বাচনে বাধা দিতে এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।
সেতুমন্ত্রী বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, দেখুন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কাকে বলে।
সমাবেশের প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি চায় সংঘাত, অস্থিতিশীলতা, অশান্তি ও রক্তপাত। আর আওয়ামী লীগ চায় নির্বাচন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে। নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।
তিনি বলেন, আমরা কারও সঙ্গে সংঘাত, পালটাপালটি সংঘাতে যাব না। আমরা এই অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। এই অপশক্তিকে বাংলার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। এজন্য আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। আমাদের ভুল-ত্র“টির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশনে মাঠে নেমেছে বিএনপি। এটাই তাদের এক দফা। ১৪ বছরে জনগণের সাড়া না পেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা শেখ হাসিনাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের পথে নেমেছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি অবাক হলাম, বাংলাদেশের মানুষ অবাক হলো, হুমকি দেওয়ার পর দুই দিন চলে গেল। মির্জা ফখরুল ইসলাম বা বিএনপির সিনিয়র নেতারা কেউ একটাও কথা বললেন না। সবাই নীরব দর্শক হয়ে আছেন! আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কোনো নেতা যদি খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দিত তখন আপনাদের কী অনুভূতি হতো? জানতে চাই আপনার কাছে।
তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তা কাল হয়েছে। বিএনপি বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। আওয়ামী লীগ কর্মীদের অনুভূতি কী তা গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের মানুষ বুঝেছে। ’৭৫ আর ২০২৩ এক নয়। বিএনপির এটা অনুধাবন করা উচিত। সারা দেশ গর্জে উঠেছে। শেখ হাসিনার ওপর হামলা হলে কী করবে! আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চুপচাপ বসে থাকবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।