এরদোগানের সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে পরাজিত হওয়া তুরস্কের প্রেসিডেন্টপ্রার্থী কেমাল কিলিচদারুগ্লু গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নিজ সমর্থকদেরও তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে বলেছেন তিনি।
গত ১৪ মে নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে সবার আগে ছিলেন এরদোগান। সামান্যর জন্য তিনি নির্ধারিত সংখ্যক ভোট পেতে সক্ষম হননি। নির্বাচনে ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে কাছাকাছি ছিলেন কেমাল কিলিচদারুগ্লু। ফলে ভোট দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। কিন্তু সেই লড়াইয়ে হেরে যান কেমাল।
নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বছরের মধ্যে সবচেয়ে অন্যায্য অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের সমস্ত উপায় একটি রাজনৈতিক দলের জন্য একত্রিত করা হয়েছিল এবং একজন ব্যক্তির পায়ে শুইয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নেশন অ্যালায়েন্সের প্রধানদের, তাদের সংগঠনগুলোকে, আমাদের ভোটারদের এবং নাগরিকদের যারা ব্যালট বাক্সগুলো রক্ষা করেছেন এবং এই অনৈতিক ও বেআইনি চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই দেশের একজন ব্যক্তি হিসেবে আমি সর্বদা আপনার অধিকার এবং ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করেছি, যাতে কেউ আপনাকে নিপীড়ন না করে, যাতে আপনি প্রচুর পরিমাণে বাস করতে পারেন এবং আমি তা চালিয়ে যাব।’
কিলিচদারুগ্লু বলেন, আমাদের দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র না আসা পর্যন্ত আমরা এই সংগ্রামের অগ্রভাগে থাকব।
২০১৪ সাল থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এরদোগান। এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত।