বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে আইনজীবীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বুধবার (৩১ মে) দুপুর ২টার পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। এসময় মিছিল নিয়ে আদালতের এজলাসের বাইরে অবস্থান নেন আইনজীবীরা। সেখানে তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আইনজীবীরা বলেন, এই সরকারের আমলে কোনও সুবিচার হতে পারে না। নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে একটা রায় দিয়ে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানকে দেশের মানুষের কাছে ও বিশ্ববাসীর কাছে হেয় করার একটা পাঁয়তারা করছে। আমরা তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এই প্রহসনের বিচার বন্ধের দাবি জানাই।
থানায় জিডির বিষয়ে তারা বলেন, জিডি যদি করে থাকে সেটা মামলা না। আর এই সরকার মিথ্যা মামলা-হামলা করেই টিকে আছে।
এছাড়াও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রায় ২০০ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত কক্ষের সামনে অবস্থান ‘আদালতে পুলিশ কেন, মহানগর জবাব চাই’, ‘পুলিশ দিয়ে বিচার কার্য, চলবে না চলবে না’ এরকম নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পাশাপাশি আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরাও অবস্থান নিয়ে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এজলাসে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত কক্ষে অবস্থান নিলে তৈরি হয় অচলাবস্থার। পরে বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে এই সংঘর্ষ। সন্ধ্যার দিকে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান করেন। পরবর্তীতে আদালত আবার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণসহ দিনের পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রম শেষ করেন।
মঙ্গলবারের এই ঘটনায় ওই রাতেই কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ ২৮ আইনজীবীর নাম উল্লেখ করে এবং বিএনপিপন্থি ১০০ থেকে ১৫০ অজ্ঞানতামা আইনজীবীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে জিডিতে। জিডির বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান।