একদিকে দেশব্যাপী বইছে তাপপ্রবাহ, আরেকদিকে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে। রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিন-চারবার লোডশেডিং করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও ভয়াবহ। দিনের অর্ধেক বেলাও বিদ্যুৎ থাকছে না।
রাজধানী উত্তর বাড্ডার স্বাধীনতা সরণীর বাসিন্দা ওসমান আলী জানান, সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। একঘণ্টার পর আসলেও ঠিক ১০ মিনিট পর ফের বিদ্যুৎ চলে যায়।
জানা গেছে, ডলারের অভাবে কয়লা আমদানি করতে পারছে না সরকার। এতে পায়রা, রামপালসহ একাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সংকটে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ অবস্থায় চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ডলারের কারণে সমস্যা হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। তিনি বলেন, ডলার না পেলে কয়লা, এলএনজি সবকিছুতেই সমস্যা হবে।
সূত্রে জানা গেছে, বিল বকেয়া থাকায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে চীনা কোম্পানি সিএমসি। গত ২৫ মে থেকে একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ। মজুত কয়লা দিয়ে দ্বিতীয় ইউনিটটি ২/৩ জুন পর্যন্ত চলবে। কয়লা আমদানি বাবদ বর্তমানে পায়রার ২৯ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার বকেয়া আছে। কয়লা সঙ্কটের কারণে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এদিকে, ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারায় গত ২৩ এপ্রিল থেকে প্রায় ২২ দিন বন্ধ ছিল রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। কেন্দ্রটি থেকে ৫০০-৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও এখন অর্ধেক বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ডলার সংকটে কয়লা আমদানি না হওয়ায় দুই মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ ছিল বরিশাল ৩০৭ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির।