আগেবার সমাবেশের অনুমতি চাইতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে গিয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলের ৪ সদস্য আটক হলেও এবার প্রতিনিধি দল সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ পেয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ডিএমপি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে জামায়াতের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের প্রধান সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন।
সাইফুর রহমান বলেন, ডিএমপি কমিশনারের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। কমিশনারের বিশেষ সহকারী উপকমিশনার সৈয়দ মামুন মোস্তফার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা আন্তরিকতার সঙ্গে জামায়াতের কথা শুনেছেন।
ডিএমপি কমিশনারের কাছে করা আবেদনে আগামী ১০ জুন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছে জামায়াত।
এর আগে সোমবার বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশ করতে চেয়েছিল জামায়াত। এজন্য অনুমতি চাইতে গত ২৯ মে ডিএমপি সদর দপ্তরে গিয়ে আটক হন দলটির ৪ প্রতিনিধি। যদিও আটকের ঘণ্টা দুইয়েক পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ডিএমপি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোমবার কর্মদিবস হওয়ায় জনদুর্ভোগ এড়াতে জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সাইফুর রহমান বলেন, পুলিশের এই মতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জামায়াত সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার দুপুরে সমাবেশ সমাবেশ করতে চায়। বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করে, সেখান থেকে পল্টন মোড়, বিজয়নগর ও নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে কাকরাইল পর্যন্ত মিছিল করবে। তবে পুলিশ যদি সমাবেশের স্থান ও মিছিলের রুট পরিবর্তন করতে চায় তাতেও আপত্তি নেই জামায়াতের।
সমাবেশে সহিংসতার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, অনুমতি দিলে উৎসবমুখর পরিবেশে কর্মসূচি পালন করবে জামায়াত। অনুমতি না দিলে জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতারা পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন।
জামায়াত সূত্রের খবর, মার্কিন ভিসানীতির সুবিধা নিয়ে সমাবেশের অনুমতি পেতে চাইছে দলটি। অনুমতি না দিলে একে সভা-সমাবেশে বাধা হিসেবে দেখানো হবে।
তবে সাইফুর রহমান বলেছেন, যখন ভিসানীতি ছিল না, তখনও জামায়াত কর্মসূচি পালন করার অনুমতি চেয়েছে। না পেয়ে কর্মসূচি করেনি। ভিসানীতির সঙ্গে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে করা আবেদনের সম্পর্ক নেই।