অনলাইন : আগামীকাল ১০ জুন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে ওয়ার্ড সভাপতি ও সেক্রেটারিদের নিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে দেলওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, মাওলানা আবু ফাহিম, মাওলানা আবু সাদিক, ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, এডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, অধ্যাপক নুরুন্নবী, আবু জয়নব, সৈয়দ সিরাজুল হক, আবু ওয়াফি, ড. মোবারক হোসাইন, কামরুল আহসান, আব্দুর রহমান, শেখ শরিফ উদ্দিন আহমেদ সহ বিভিন্ন থানার আমীর ও সেক্রেটারীবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, দেশের সংবিধান মোতাবেক আমরা সকল কর্মসূচী পালনের অধিকার রাখি। ক্ষমতাসীনদের দীর্ঘ পনের বছরের দুঃশাসনে দেশের জনগণ চরম অতিষ্ঠ। চাল, ডাল, তৈল, আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ গ্যাস সবকিছুর মূল্য আকাশচুম্বি এবং তা মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং এ দেশের মানুষের জীবনযাত্রা আজ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় আমরা জনগণের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। ৩টি মৌলিক দাবীতে আগামী ১০ জুন রাজধানীতে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এই সমাবেশ বাস্তবায়ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা বিশৃংখলা চাই না, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, ভোট ডাকাতি, দখলদারী, গুম, খুন, দুঃশাসন এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস সহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশ গভীর সংকটে পড়েছে। অথচ জনগণের উপরে গণবিরোধী নানা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে আওয়ামী লুটেরা গোষ্ঠী ফায়দা লুটে নিচ্ছে। দেশের মানুষ এই ব্যর্থ সরকারের কবল থেকে মুক্তি চাই, জনগণ জুলুমবাজদের কবল থেকে মুক্তি চাই। আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আজ দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। শুধু তাই নয় গোটা বিশ্ব আজ আওয়ামী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। আজ সকলেই বুঝে গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের অধিনে এদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কেয়ারটেকার সরকারের মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের ব্যর্থতায় আজকে পুরো জাতির উপরে ভিসা নীতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার।
তিনি দায়িত্বশীলদের আরও বলেন, জনগণের মুক্তির জন্য, দেশকে অপশাসন ও দুঃশাসন হতে মুক্ত করতে আগামী ১০ জুন জামায়াতের সমাবেশ। ফলে ইসলাম, মানবতা এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই সমাবেশকে একটি মাইলফলক হিসেবে গ্রহণ করে বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ধৈর্য এবং শৃঙ্খলার চরম উদাহরণ পেশ করে মাথা ঠান্ডা রেখে সব ধরনের পরিস্থিতি উত্তরণের চেষ্টা করতে হবে। কুচক্রী মহলের ফাঁদে পা দিয়ে কারো সাথে কোন ধরনের ঝামেলায় জড়িত হওয়া যাবেনা। সর্বোপরি মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে শৃঙ্খলার সাথে সমাবেশ বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ভুমিকা পালন করতে হবে। তিনি ওয়ার্ড দায়িত্বশীলদেরকে নগরবাসীকে সাথে নিয়ে দলে দলে সমাবেশে যোগদান করার জন্য উদাত্ব আহবান জানান।