৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার:
আগামীকাল শনিবার জামায়াতের সমাবেশ করার আবেদন পর্যালোচনা করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। প্রথমবার দলটির আবেদন নাকচ করে দেয়ার পর মঙ্গলবার দলটি ফের সমাবেশের অনুমতির জন্য আবেদন করেছে। ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কথা বলে মতামত নিয়েছেন। কিন্তু সবাই নাশকতা ও বিশৃঙ্খলার শঙ্কায় অনুমতি না দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। এমনকি ডিএমপি’র মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও সমাবেশের পক্ষে মত দিচ্ছেন না। তবে এখনও অনুমতি দেয়া বা না দেয়া নিয়ে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে খোলাসা করে কিছু বলা হয়নি। ডিএমপি’র নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, সমাবেশ ১০ তারিখ তাই এখনও হাতে সময় রয়েছে। এর ভেতরে আরও যাচাই-বাছাই করা হবে। বিশেষ করে দলটি সমাবেশের নামে নাশকতামূলক কোনো কর্মকাণ্ড করার পরিকল্পনা আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীকে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি নিয়ে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, যারা রাজনীতি করেন তাদের রাজনৈতিক অধিকার রয়েছে সভা-সমাবেশ করার।
বিজ্ঞাপন
তারা তাদের মতামত প্রদর্শন করবে, জানাবে এটাইতো স্বাভাবিক।
আমি যতদূর জানি, জামায়াতে ইসলামী এখন নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত একটি দল নয়। কাজেই এ বিষয়ে আমাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার নিরূপণ করবেন। এখানে সমাবেশ করতে দিলে কোনো নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা। এরপরই তারা সিদ্ধান্ত দেবেন। ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার মানবজমিনকে বলেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে যে আবেদনটি করা হয়েছে সেটি কমিশনার গ্রহণ করেছেন। এখন সকল দিক বিবেচনা করে তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন। কি সিদ্ধান্ত দেবেন সেটির অপেক্ষা করছি আমরা। তার পরবর্তী বিষয়গুলো পরবর্তী সিদ্ধান্তে আসবে। অনুমতি না পেয়েও যদি সমাবেশ করে জামায়াত তবে পুলিশের ভূমিকা কি থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি কেউ পাবলিক বা প্রাইভেট প্রোপার্টির ক্ষতি সাধন করে এবং জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায় যখন যে মাত্রায় আইন প্রয়োগ করা দরকার সেটি করবো। সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, শনিবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
তিন দফা দাবিতে বড় সমাবেশ করার জন্য দলটির নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বার্তা দেয়া হয়েছে। এর আগে ৫ই জুন কর্মদিবস থাকার কারণে তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তাই এবার ছুটির দিন শনিবার দেখে তারা অনুমতির আবেদন করেছে। দলটি আশা করছে ডিএমপি তাদের এবার অনুমতি দেবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতা ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতেই সমাবেশ করতে চায় দলটি। শনিবার দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ ও মিছিল করার অনুমতি চেয়ে গত মঙ্গলবার বিকালে জামায়াতের ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল মিন্টো রোডের ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দেন। একই দাবিতে গত ২৯শে মে পুলিশের কাছে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাইতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর চার নেতা। পরে যাচাই-বাছাই শেষে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
এদিকে শনিবার জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বনানী থানা জামায়াতের আমীর তাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মাওলানা রাফিসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ওয়্যারলেস গেটের নবাবী রেস্টুরেন্ট থেকে তাদের আটক করে বুধবার পুলিশ বাদী মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বনানী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম মামলায় উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বর্তমান সরকারকে উৎখাত ও পতনের লক্ষ্যে জনসাধারণ, সরকারি স্থাপনা ও যানবাহনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করছিলেন। বনানী ওয়্যারলেস গেটের নবাবী রেস্টুরেন্টে বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন তারা। সেখান থেকে রাতে তাদের আটক করা হয়।
পাঠকের মতামত
মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
জামায়াতের সমাবেশ ঠেকাতে আওয়ামী দুঃশাসকের দল আর তাদের পাচাটা পুলিশ লীগ নানা ছুতার পশরা সাজাবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ জামায়াতে ইসলামী তাদের সততা দক্ষতা ন্যায় পরায়ণতা মানবতা দিয়ে বাংলাদেশের মাটি আর মানুষের হৃদয় জয় করে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। তাদেরকে শিকলমুক্ত বাকস্বাধীনতা দিলে আওয়ামী দুঃশাসকের দল বানের পানির মত ভেসে যাবে অতল সাগরে। ক্ষমতার তখতে তাউস উড়ে যাবে জনবিস্ফোরণের সুনামীতে। তাই এই ভীত আতংকিত সন্ত্রস্ত মানবতা বিধ্বংশি আওয়ামী স্বৈরাচারী রক্ত পিপাসু দানবের পাল জামায়াতকে ময়দানে খোলা বাতাসে নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ হয়তো দিবে না। কিন্ত মহান আল্লাহর রহমতের স্নিগ্ধ সমীরণে জামায়াতে ইসলামী শীতল হবে আজ বা কাল এই প্রত্যাশা প্রতিটা দেশপ্রেমিক জনতার।
আলমগীর
৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
পুলিশ উচিত জামায়াত কে সমাবেশ করতে দেওয়া, তারা নাশকতা করে কিনা পরিক্ষা করা, তবে বর্তমানে কিছু পুলিশ এখন লীগের ভাষায় কথা বলে, জামায়াত এ দেশের কোটি কোটি লোক আছে
মিজানুর রহমান
৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:০১ অপরাহ্ন
বিগত ১৪ বছর যাবত তথাকথিত নাশকতার ষড়যন্ত্রের গল্প শুনে আসছি। জামায়াতে ইসলামী কিংবা ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীরা রাতে বাসায় ঘুমিয়ে আছে, পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসে নাশকতার মামলা দিয়েছে। বিয়ে বাড়িতে কারো দাওয়াতে মেহমানদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীরা আছে, এই খবর পেয়ে করিতকর্মা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের গ্রেফতার করে এনে নাশকতার মামলা দিয়েছে। বর্তমানে কারাগারে আটক মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে রমজান মাসে কয়েকজন রোযাদারসহ আটক করা হয় ঠিক ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নাশকতার ষড়যন্ত্র করছিলো। এই সব ষড়যন্ত্র তত্বকে অসত্য প্রমানের জন্যই তো জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্য সমাব্শে করে প্রমাণ করতে চায়, যে সরকার এবং পুলিশ এতোদিন যে অভিযোগ করে আসছে তাতে সত্যের লেশ নেই। অথচ পুলিশ এবং সরকারই নানা টালবাহানা করছে। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদের ৩৭ ধারায় বলা হয়েছে ‘জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।’ সংবিধানের এই ধারা সাঅনুযায়ী যে কোনো দল বা মতের যে কোনো লোকের সভা সমাবেশ করার অধিকার দেয়া হয়েছে। এখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে যে, এই সভা সমাবেশে কোনো ভায়োলেন্স হয় কি না। সাম্প্রতিককালে আমরা দেখে আসছি। কেউ সভা সমাবেশ করার জন্য পুলিশের সহায়তা চাইলে তারা অযাচিত শর্তারোপ করে এবং কোনো কারণ ব্যতীতই সভা সমাবেশের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করে। তৃতীয় কথা হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো দল নয়, তাদেরকে সভা সমাবেশ করতে না দেয়াটাই বরং আইন ও সংবিরুদ্ধ কাজ। তৃতীয়ত জামায়াতে ইসলামী কোনো জনসমর্থনহীন দল নয়। জাতীয় সংসদে অতীতের সকল সময়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি ছিলো, বহুদলীয় গণতন্ত্রে প্রবর্তনের পর প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৭৯ সালে। এ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী পিডিপি ও নেজামে ইসলামীকে নিয়ে জোট করে ‘আই ডি এল’ নামে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। এ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ছয় জন প্রার্থী বিজয়ী হয়ে জাতীয় সংসদে যায়। তারা হলেন, পিরোজপুর হতে মাওলানা আবদুর রহীম, ঝিনাইদহ হতে মাওলানা নুরুন্নবী সামদানী ও অধ্যাপক রেজাউল করীম, গাইবান্ধা হতে মাওলানা মোজাম্মেল হক, কুড়িগ্রাম হতে মো. সিারজুল ইসলাম এবং লক্ষীপুর হতে মাস্টার সফিকুল্লাহ এ সময় জামায়াতে ইসলামীর প্রাপ্তমোট ভোটের পার্সেন্টেস ছিলো ৬%+। ১৯৮৬ সালে জামায়াতে ইসলামী ১০ টি আসনে বিজয়ী হয় এবং এরশাদ সরকার তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে নির্বাচনকে বার বার প্রভাবিত করায় কেয়ার টেকার সরকারের দাবী আদায় এবং এরশাদের পদত্যাগের দাবীতে জামায়াতের দশজন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করে। ১৯৯১ সালে জাাময়াতে ইসলামী ২১৬ টি আসনে নির্বাচন করে ১৮টি আসনে বিজয়ী হয়। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর প্রাপ্ত মোট ভোটের পার্সেন্টেস ছিলো ১২%+। ১৯৯৬ সালে জাময়াতে ইসলামী ৩০০ আসনে নির্বাচন করে কিন্তু আসন পায় মোট তিনটি। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর প্রাপ্ত মোট ভোটের পার্সেন্টেস ছিলো ৯%+। আওয়ামী দুঃশাসন জুলুম নির্যাতন এবং নির্বাচন নিয়ে টালবাহনার প্রতিবাদে ১৯৯৯ সালে গঠিত হয় চার দলীয় জোট। চার দলীয় জোটের শরীক হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ৩৭ টি আসনে নির্বাচন করে ১৭টি আসনে বিজয়ী হয়। এ সময় জামায়াতের প্রাপ্ত ভোটের পার্সেন্টেস ছিলো ৫%+। তবে এ পার্সেন্টেস দিয়ে জামায়াতের মোট জনসমর্থনকে বোঝা যাবে না। কারণ জোটের ঐক্যের স্বার্থে জামায়াতে ইসলামী ২৩৩ টি আসনে নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি। এমনকি সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, কক্সবাজার, বাগেরহাট, নীলফামারীসহ অসংখ্য জেলায় জামায়াতের যেখানে ভোট ব্যাংক আছে সে সকল আসন জোটের স্বার্থে ছেড়ে দিতে হয়েছে। এরপর ২০০৮ সালে যে মঈন ফখরুলের অধীনে যে নির্বাচন হয় সে নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী দুটি আসন পায়। এরপর থেকে আওয়ামীলীগ বিগত চৌদ্দ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। যার মধ্যে ২০১৪ সালে তারা বিনা ভোটে অটো পাস নিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখে এবং ২০১৮ সালে রাতের ভোটে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে। অতএব আশা করি সরকার এবং প্রশাসন জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশ করতে কোনো বাধা না দিয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিবে
Hafizur rahman
৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৪ অপরাহ্ন
পুলিশ এবং বর্তমান ভোট ডাকাত, অবৈধ রাজনৈতিক সরকার তাদের সেই পুরনো নাশকতার বৃত্তেই আবদ্ধ, বরং এ অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত রাখার ধান্দায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
amm shihabuddin
৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৬:৪৭ অপরাহ্ন
এরকম পুলিশ দের চিনে রাখার দরকার। ভবিষ্যতে কাজে দিবে।এপুলিশ কে নিয়ে কোন একদিন সে রেষ্টুরেন্টে মিটিং করার জন্য
Rahman
৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৬:২২ অপরাহ্ন
অনুমতি দিলে ভালো হবে। না দিলেও সমাবেশ করা উচিত হবে জামাতের
Sazzad
৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৫:৪৩ অপরাহ্ন
আজ অবধি জামায়াতের পক্ষ থেকে নাশকতার কোন প্রমাণ নেই। একটা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর বৈঠকে বসবে, আলোচনা করবে। তাদের কর্মসূচি ঠিক করবে, এটাতো সাধারণ সেন্স। বিএনপির নেতাকর্মীদের বৈঠক থেকে ধরপাকড় করে বলা হয় ‘নাশকতার পরিকল্পনা’ করছিল। একইভাবে জামায়াতের নেতাকর্মীদেরও বৈঠক থেকে ধরপাকড় করে বলা হয় ‘নাশকতার পরিকল্পনা’ করছিল। এই ভাঙ্গা রেকর্ড কতো বার যে বাজানো হলো তার ইয়ত্তা নেই। রোজাদারদের পর্যন্ত তারাবি নামাজ থেকে ধরে নিয়ে গেছে ওই একই রেকর্ড শুনিয়ে। মানুষ সবই বুঝে। বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশে নেতাকর্মীরা যখন যোগদান করছিল তখন তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এটা কি নাশকতা না? আওয়ামী লীগ পুলিশের ছত্রছায়ায় নাশকতা করে যাচ্ছে। আর ধরপাকড় করা হয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের। জামায়াত সরকারের দুর্নীতি, দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি, লোডশেডিং, নেতাকর্মী ও আলেম ওলামাদের মুক্তির জন্য কর্মসূচি পালন করতে চায়। পুলিশ বলছে নাশকতা করবে। মানুষ কি এতোটাই বোকা! ঘোষণা দিয়ে, অনুমতি নিয়ে কেউ কি রাজপথে নাশকতা করে? আসলে আগে থেকেই নাশকতার কথা বলা হয় এজন্য যে, জামায়াত যখন মিছিল করবে তখন পুলিশের ছত্রছায়ায় নাশকতা করবে ছাত্র ও যুবলীগের কর্মীরা। এটা বুঝাই যায়। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার দিন শেষ। নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন এখনো বিচারাধীন। উচ্চ আদালতে তাদের নিবন্ধন যতক্ষণ পর্যন্ত বাতিল না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এটা বলা যায় না যে, তাদের নিবন্ধন নেই। তাছাড়া নিবন্ধন দরকার নির্বাচন করার জন্য। রাজনীতির জন্য, কর্মসূচি পালন করারা জন্য নিবন্ধনের দরকার আছে বলে জানা নেই।
আবুল কাসেম
৮ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২:২৩ অপরাহ্ন