জামায়াত নিষিদ্ধ দল নয়, তাই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

জামায়াত নিষিদ্ধ দল না হওয়ায় তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তবে গতকাল (শনিবার) সমাবেশ থেকে তারা যে বক্তব্য দিয়েছে, সেগুলো বিএনপিরও বক্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন হাছান মাহমুদ।

পরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এক দশক পর শনিবার (১০ মে) রাজধানীতে বড় সমাবেশ করেছে জামায়াত। তার আগে মৌখিকভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের অনুমতি পেয়েছে দলটি। জামায়াতকে সভা করার অনুমতির বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াত এখনো যেহেতু নিষিদ্ধ হয় নাই, রাজনৈতিক দল হিসেবে আবেদন করেছে, সে জন্য তাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।  তবে গতকাল তাদের সমাবেশ থেকে আস্ফালন করে যেভাবে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, এগুলো আসলে বিএনপিরই বক্তব্য।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৪ সালে তারা যেভাবে নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে শতশত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, সেটারই ইঙ্গিত তারা দিয়েছে। বিএনপি জোটের প্রধান শরিক জামায়াতকে দিয়ে তারা এই কথাগুলো বলিয়েছে। তাদেরকে সুযোগ দিলে তারা কি করতে পারে সেটি তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে।’

এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু : জুলিও কুরি ও এশীয় শান্তি সম্মেলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ১১ জুন একটি ঐতিহাসিক দিন। ২০০৮ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেছেন। এই দিনটি শুধু ব্যক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি দিবস নয়, গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, সহযোগী সম্পাদক একেএম শামসুদ্দিন, গ্রন্থকার ও গবেষক পপি দেবী থাপা প্রমুখ।

‘সেনাসমর্থিত সেই সরকার (তত্ত্বাবধায়ক) দুর্নীতি–দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতা দখল করলেও নিজেরাই দুর্নীতি, অপশাসনে লিপ্ত হয়েছিল এবং তখন তাদের বিরুদ্ধে সাহস করে কেউ কথা বলেনি, জননেত্রী শেখ হাসিনাই সাহস করে কথা বলেছেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সে কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুখ স্তব্ধ করার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। এরপর তারা বুঝতে পেরেছিল, মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়ে বন্দি শেখ হাসিনা কম শক্তিশালী নন, বরং অনেক ক্ষেত্রে অনেক বেশি শক্তিশালী। কারণ আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সেই সময়কার সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে রাজপথে নেমেছিল, সোচ্চার হয়েছিল, সে কারণেই তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল।’

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকের এই দিনটি ব্যক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি দিবস শুধু নয়, গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস এবং এই দিনে জননেত্রীর প্রতি অভিনন্দন, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। একই সঙ্গে যারা জননেত্রীর মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের প্রতি অভিনন্দন।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।