মোঃ সাইদুল হোসেন শহর প্রতিনিধিঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা “ফাঁকা রবেনা কোন আঙ্গিনা,এক ইঞ্চি জমিও আমরা অনাবাদি রাখবোনা। সবজি হউক, ফল হউক, ফুল হউক গাছ লাগাবো। একটা কাচা মরিচের চারা হলেও লাগাবো। কোন জায়গা অথবা ডোবা খালি থাকলে সেখানেও মাছ চাষ করবো”। ঠিক সেই নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মহোদয়ের সিদ্ধান্তক্রমে, উপ-মহাপরিচালক খুলনা রেঞ্জ মহোদয়ের পরামর্শক্রমে ৩০ আনসার ব্যটালিয়ন পুরাতন জমিদার বাড়ী সাতক্ষীরার পরিচালক জনাব এনামুল খাঁন’র সুচিন্তিত দিকনির্দেশনা ও বলিষ্ট নেতৃত্বে উক্ত ব্যাটালিয়নের সকল সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ব্যাটালিয়ন চত্তরের পতিত জায়গায় মৌসুমি শাক সবজি, ফল, ফুলের চাষ করা হয়েছে। ফলে ৩০ আনসার ব্যটালিয়ন যেন এক অন্য রুপ ধারন করেছে এবং ব্যাটালিয়ন চত্তরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে বিভিন্ন প্রকার শাক সবজি যেমন পালং শাক,পাট শাক,লাল শাক, কলমি শাক, পুই শাক, পুদিনা,ডাটা, ঢেরশ, বেগুন,গাজর, বরবটি, লাউ,চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া,সিম,করলা চাষ করার পাশাপাশি পুকুরে মাছ চাষ করা হয়। এছাড়াও ফলজ বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে পেপে,কলা,আম,কাঠাল ইত্যাদি। উলেখ্য যে, উৎপাদিত সকল শাক সবজি সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয়। যা ব্যাটালিয়নের সৈনিক মেস, কমান্ডার মেস, ও অফিসারর্স মেসসহ সকলে ক্রয় করে থাকেন এবং বিক্রিত মূল্য ৩০ আনসার ব্যাটালিয়নের লোকাল ফান্ডে জমা করা হয়। শাক সবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ছাড়াও সব ধরনের পুষ্টি সরবরাহ করে । ব্যাটালিয়নে চাষকৃত এই নির্ভেজাল শাক সবজি ও ফলমূল পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আয়ের উৎস হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। ব্যাটালিয়নের সদস্যগন ভেজালমুক্ত শাক সবজি খেতে পারছে আবার একই সাথে বাজারের উপর কিছুটা হলেও চাপ কম পড়ছে। শাক সবজির ক্ষেতগুলো পরিচালক মহোদয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাগন নিয়মিত পরিদর্শণ করেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সবজি বাগান নিয়মিত পরিচর্চার দ্বায়িত্বে রয়েছেন এপিসি আব্দুছ সোবাহান,ব্যাটালিয়ন আনসার মোঃ হাছানুজ্জামান,ল্যান্স নায়েক মোঃ বশির আহম্মেদ। পরিচালক এনামুল খাঁন জানান, ব্যাটালিয়নে সকল খালি জায়গায় শাক সবজি উৎপাদনের এ ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে।