আশাশুনি: আশাশুনির কাদাকাটি ইউনিয়নে সুপেয় পানির অভাবে চরম বিপর্যস্ত পরিবারের মধ্যে ৩৩২টি পরিবার সুপেয় পানিন ব্যবস্থা পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন। জিওবি-ইউনিসেফ পাইপ ওয়াটার সিস্টেম পরিবারগুলোকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে। ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রধান শেলডন ইয়েট প্লান্টটির শুভ উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কাদাকাটি ইউনিয়নের দীর্ঘ প্রায় ৬ কিলোমিটার পাইপলাইন ব্যবহার করে ৩টি ভিন্ন ভিন্ন পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে প্রকল্পের নির্মিত প্লান্টের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিশোধন করা হচ্ছে। এখান থেকে ২৭ টি ট্যাপ পয়েন্টের মাধ্যমে ৩৩২ পরিবারকে সারা বছর নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হবে। গত ১৯ জুন থেকে পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। সুপেয় পানি সরবরাহ কাজ দেখতে এলাকা পরিদর্শন করেন, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার সরকার, জিওবি-ইউনিসেফ, ঢাকা প্রকল্প পরিচালক এহতেশামুল রাসেল খান, ডিপিএইচই খুলনা, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: বাদশাহ মিয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী, সাতক্ষীরা, মো: শহিদুল ইসলাম, ইউনিসেফ খুলনা চীফ ফিল্ড অফিসার মো: কাউসার হোসেন, ইউনিসেফ ঢাকা ওয়াশ অফিসার নার্গিস আক্তার, ইউনিসেফ খুলনা ওয়াশ অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ মাহমুদ, ইপিআরসি ঢাকা সহকারী নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. সুফিয়া খানম ও ইপিআরসি’র উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পানি সংক্রান্ত কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাদাকাটিসহ আশাশুনি উপজেলার পানযোগ্য নিরাপদ পানির সংকট মোকাবেলায় সুপারিশসমূহ বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। পানি ব্যবহারকারী রমেচা খাতুন বলেন, এলাকার মানুষের সুপেয় পানির দুর্ভোগের কথা বলে শেষ করা যাবেনা। ইউনিসেফ পাই লাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে পানি পৌছে দিয়ে আমাদেরকে মহা সংকট থেকে রক্ষা করেছে। কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার সরকার জানান, এলাকার মানুষ দীর্ঘকাল সুপেয় পানির অভাব চরম ভাবে ভোগ করে আসছিল। সুপেয় পানির সন্ধানে মহিলারা ২/৩ কিঃমিঃ পথ পায়ে হেটে গিয়ে দুরবর্তী এলাকা থেকে কলসে পানি এনে কোন রকমে কাজ মিটাতে কষ্টসাধ্য চেষ্টা করতো। প্লান্টটি চালু হওয়ায় এলাকার মানুষ এখন বাড়ি বসে সুপেয় পানি পাচ্ছে। এমন প্রকল্প এলাকার আরও কিছু গ্রামে স্থাপন করা প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
Check Also
সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ড (রাজারবাগান ও সরকারপাড়া ইউনিট) এর উদ্যোগে …