কুরবানির ইতিহাস ও তাৎপর্য

॥ আব্দুল ওয়াদুদ সরদার ॥
আরবি কুরবান শব্দটি ফার্সি, উর্দু ও বাংলায় কুরবানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কুরবানি শব্দটি হিব্রু ও সিরিয়ান ভাষায়ও আছে। এর অর্থ নৈকট্য, ত্যাগ বা উজাড় করে দেয়া। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য নিজের মধ্যে লুকায়িত সকল কুপ্রবৃত্তি ত্যাগ করে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করা। কুরআনুল করীমে একাধিক স্থানে কুরবানি শব্দটি উক্ত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
কেন এ কুরবানি
আল্লাহ তালার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যেই এ কুরবানি। আবহমানকাল থেকে মুসলিম জাতি নিজেকে মুমিন ও তাকওয়াবান হিসেবে গড়ে তুলতে হৃদয়ের মাঝে ঘাপটি মেরে থাকা সকল বদাভ্যাস  পরিবর্তনের মাধ্যমে এ গৌরবময় স্মৃতি বহন করে আসছে।
মহান আল কুরআনে, নির্দেশ দিচ্ছেন ‘সুতরাং আপনি আপনার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করুন এবং কুরবানি দিন’। (সূরা আল কাউসার : ২)।
একজন মুমিন প্রকৃতপক্ষে আত্মার মধ্যে নিজেকে সংশোধনের জন্য সর্বোত্তম মাধ্যম হিসেবে সাধ্যানুযায়ী আল্লাহর রাহে পশু কুরবানি করে।  কুরবানির এ বিধান মানবসভ্যতার সুদীর্ঘ ইতিহাস। পৃথিবীর সব জাতিই আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য তার প্রিয় বস্তু কুরবানি করতেন। আমরা ইতিহাস পাঠে জেনেছি, রাসূল (সা)-এর শ্রদ্ধেয় আব্বাজান একবার অসুস্থ হলে তাঁর দাদা এক শত উট জবেহ করেছিলেন। এ থেকে প্রতীয়মান যে, পশু জবাই করা রাসূল (সা.) প্রচলন করেননি, বরং আগেই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু জবাই করা হতো। পশু কুরবানির আরো একটি উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘এবং যখন মূসা নিজ সম্প্রদায়কে বলেছিলÑ নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন যে, তোমরা একটি গরু জবাই কর’। (আল বাকারা : ৬৭)।
হজরত ইব্রাহীম (আ.)-এর পরিবার নজিরবিহীন ত্যাগ ও কুরবানির যে শিক্ষা দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে একজন মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে সদা প্রস্তুত থাকে। হজরত ইসমাইল (আ.) -এর মা হাজেরার আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশগুলো আজ হজের অংশ হিসেবে গণ্য রয়েছে। এ ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহার সালাত আদায়ের পর পশু কুরবানি করা হয়।
কুরবানির ইতিহাস
কুরবানির ইতিহাস অনেক পুরাতন ও ব্যাপক। এটি হজরত আদম (আ.)-এর জমানা থেকে শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত পরিব্যপ্ত।
এ সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উল্লেখ করেছেন, ‘আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কুরবানির নিয়ম করে দিয়েছি, যাতে আমি তাদেরকে জীবনোপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছি সেগুলোর ওপর (আল্লাহু আকবার বলে) আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে জবেহ করে। তোমাদের মাবুদ একই মাবুদ, সুতরাং তাঁরই নিকট আত্মসমর্পণ কর এবং সুসংবাদ দাও বিনীত জনদের’। (সূরা হজ : ৩৪)।
কুরবানির ইতিহাস হচ্ছে হজরত আদম (আ.)-এর দুই পুত্র হাবিল এবং কাবিলের মধ্যে সংঘটিত কুরবানির মাধ্যমে। কুরবানি হচ্ছে তাকওয়াবান লোকদের আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অনন্য নিদর্শন। কুরবানি কবুল হওয়া না হওয়া ব্যক্তির ভাবাবেগ ও মানসিকতার ওপর নির্ভর করে। এ আয়াতে আল্লাহু আকবার অর্থাৎ আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ এ নীতি সকল পর্যায়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করা। আমরা যারা আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য পছন্দনীয় পশু কুরবানি করছি, তারা কী সকল অবস্থায় আল্লাহর বিধান বড় হিসেবে সকল পর্যায়ে মেনে নিতে পেরেছি? এখানে আমাদের আত্মপর্যালোচনার বিষয় রয়েছে।
সূরা হজের ৩৪নং আয়াতের শেষে আল্লাহর রাহে ‘আত্মসমর্পণ’-এর কথা বলা হয়েছে। আমরা কি এখনো পেরেছি নিজের সব আবেগ-অনুভূতি বিসর্জন দিয়ে একমাত্র আল্লাহর সকল বিধিবিধান নিজের জীবনের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে আত্মনিমগ্ন করতে? উত্তর রাজি নেতিবাচক হয়, তাহলে আমাদের এখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাওবা করে আল্লাহর রাহে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
হাবিল ও কাবিল দুই ভাই একই সাথে কুরবানি দিল, একজন আল্লাহর নির্দেশে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করায় কুরবানি কবুল হলো, অন্যজন যথাযথভাবে আত্মসমর্পণ না করায় কুরবানি কবুল হলো না।
এ সম্পর্কে সূরা আল মায়িদায় বলেন, ‘তুমি (রাসূল) তাদেরকে (আহলে কিতাবদের) আদমের পুত্রদ্বয়ের (হাবিল ও কাবিলের) ঘটনা সঠিকভাবে পাঠ করে শুনিয়ে দাও; যখন তারা উভই এক একটি কুরবানি উপস্থিত করল এবং তন্মধ্যে একজনের (হাবিলের) কুরবানি কবুল হলো এবং অপরজনের (কাবিল) হলো না। অপরজন বলতে লাগল, আমি তোমাকে নিশ্চয়ই হত্যা করব; প্রথমজন বললো আল্লাহ, আল্লাহভীরুদের ‘আমলই কবুল করে থাকেন। তুমি যদি আমাকে হত্যা করার জন্য হাত প্রসারিত কর, তথাপি আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য তোমার দিকে কখনো আমার হাত বাড়াবো না; আমি তো বিশ্বজাহানের রব আল্লাহকে ভয় করি’। (মায়িদা : ২৭-২৮)।
কুরবানি কবুলের শর্ত
কুরবানি কবুলের পূর্বশর্ত আল্লাহভীতি। আপনি-আমি লাখ টাকা দামের পশু কুরবানি করলাম কিন্তু আপনার-আমার অন্তরে আল্লাহভীতি ও ভালোবাসার জন্ম হলো না। আপনার-আমার মধ্যে পশুরূপী যে প্রবৃত্তি লুকিয়ে আছে, তাকে যদি ধ্বংস করতে না পারি, তাহলে এ কুরবানি আল্লাহর রাহে কবুল হবে না। শুধুমাত্র লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা ও কিছু গোশত খাওয়া ছাড়া ভাগ্যে কিছু জুটবে কিনা, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ভালো জানেন।
এখানে আল্লাহভীরু বলতে বোঝায়
তাকওয়ার গুণ। আমাদের সমাজে এমনও দৃশ্য পরিলক্ষিত হয় যে, কুরবানির গোশত গরিব-মিসকিন এবং আত্মীয়-স্বজনকে দেয়ার যে বিধান রয়েছে, তা উপেক্ষা করে নতুন ফ্রিজ কিনে ভর্তি করে রাখে। এ কাজে অনুপ্রাণিত করতে ঈদুল আজহার পূর্বেই অনেক কোম্পানি বেশি মূল্যছাড় দিয়ে ফ্রিজ বিক্রি করতে দেখা যায়। এসব আচরণ দেখে মনে হয়, কুরবানি করা হয় শুধু গোশত খাওয়ার জন্য। এ কর্মকাণ্ড কি প্রমাণ করে না আমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারিনি! যারা আল্লাহর বিধানকে অমান্য করে গরিব অসহায় মানুষ এবং আত্মীয়-স্বজনকে কুরবানির গোশেত বিতরণ না করে ফ্রিজ ভর্তি করে রাখে, তাদের কুরবানি কবুল হবে না।
কুরবানি হচ্ছে হজরত ইব্রাহীম (আ.)-এর স্মৃতিচিহ্ন
হজরত ইব্রাহীম (আ.) ৮৬ বছর বয়সে ভূমিষ্ঠ পুত্র সন্তান হজরত ইসমাইল (আ.)কে মরু প্রান্তরে কুরবানি করে আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এ ঘটনা সামনে রেখে সামর্থ্যবান ব্যক্তি কুরবানি করে।  হজরত ইব্রাহীম (আ.) পুত্রকে কুরবানি করার যে অগ্নিপরীক্ষা দিয়েছিলেন, তা সূরা আল বাকারায় তুলে ধরেছেন, ‘যখন তোমার রব ইব্রাহীমকে কতিপয় বাক্য দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বলেছিলেন, নিশ্চই আমি তোমাকে মানবমণ্ডলীর নেতা করব। সে বলেছিল, আমার বংশধরগণ হতেও। তিনি (আল্লাহ) বলেছিলেন, আমার এ অঙ্গীকার অত্যাচারীদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না’। (বাকারা : ১২৪)।
কুরবানি প্রচলনের কারণ
হজরত ইসমাইল (আ.) চলাফেরার বয়সে উপনীত হলে হজরত ইব্রাহীম (আ.) তাঁর প্রাণপ্রিয় শিশু পুত্রকে আল্লাহর রাস্তায় কুরবানি দেওয়া স্বপ্নে আদিষ্ট হওয়ার কথা পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে স্বপ্নের সকল ঘটনা স্ববিস্তার বলে পুত্রের অভিমত জানতে চাইলেন, যা সূরা আস সাফফাতে এভাবে বর্ণনা করেছেন, ‘অতঃপর সে যখন তার পিতার সাথে কাজ করার মতো বয়সে উপনীত হলো, তখন ইব্রাহীম বলল, হে বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি জবেহ করছি, এখন তোমার অভিমত কী বল? সে বলল, হে আমার পিতা! আপনি যা আদিষ্ট হচ্ছেন তাই করুন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।
যখন তারা উভয়ই আনুগত্য (আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ) প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তার পুত্রকে কাত করে শায়িত করল, ‘তখন আমি (আল্লাহ) তাকে আহ্বান করে বললাম, হে ইব্রাহীম, তুমি তো স্বপ্ন আদেশ সত্যিই পালন করলে। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি।
নিশ্চয়ই এটা ছিল এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
আমি তাকে মুক্ত করলাম এক মহান কুরবানির বিনিময়ে। আমি এটা পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি’। (আয়াত : ১০৩-১০৭)।
ইব্রাহীম (আ.) আল্লাহর দেখানো স্বপ্নের আলোকে মরুর নির্জন প্রান্তরে পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কাত করে শুইয়ে নিজের চোখ বেঁধে নিয়ে আল্লাহু আকবর বলে ছুরি চালিয়ে নিজ পুত্রকে কুরবানি করেন। চোখ খুলে দেখতে পান পুত্র পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার অশেষ কুদরতে ইসমাইল (আ.)-কে সরিয়ে তদস্থলে একটি দুম্বা কুরবানি সমাপ্ত করে হজরত ইব্রাহীম (আ,)-কে অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ  করলেন।
আল কুরআনের এ নির্দেশনার আলোকে অনাদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত মুসলিম উম্মার সামর্থ্যবান ব্যক্তি আল্লাহকে সন্তুষ্টির আশায় ওয়াজিব হিসেবে পশু কুরবানি করে গরিব-দুঃখী ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিলি-বণ্টন এবং নিজেরা আহারের মাধ্যমে  সুখ ও আনন্দ ভাগাভাগি করে থাকে।
বিশ্ব মুসলিম এ কাজটি নিছক আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য করে থাকে। এ সম্পর্কে আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘(হে নবী)! তুমি বলে দাও : নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ সব কিছু সারা জাহানের মালিক আল্লাহর জন্য’। (আন’আম : ১৬২)।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন, ‘আর (কুরবানি) উটগুলোকে আমরা তোমাদের জন্য আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে গণ্য করেছি। তোমাদের জন্য তাতে বিপুল কল্যাণ রয়েছে। অতএব এগুলোকে দাঁড় করিয়ে এগুলোর ওপর আল্লাহর নাম লও। আর যখন উহাদের পিঠগুলো জমিনের স্থির হয়, তখন তা হতে নিজেরাও খাও, আর তাদেরকেও খাওয়াও। যারা অল্পে তুষ্ট হয়ে নিশ্চুপ বসে আছে, আর তাদেরকেও যারা এসে নিজেদের প্রয়োজন পেশ করে। এ পশুগুলোকে আমরা তোমাদের জন্য এভাবে নিয়ন্ত্রিত করেছি, যেন তোমরা শুকরিয়া আদায় কর’। (সূরা হজ : ৩৬)।
এখানে কুরবানির গোশত নিজে খাওয়া এবং যারা নিজেদের প্রয়োজনের কথা বলে তাদের দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এমন কিছু লোক আছে, যারা তাদের প্রয়োজনের কথা আত্মসম্মানবোধের কারণে কাউকে বলতে পারে না, তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের বাসায় পৌঁছানোর নির্দেশ রয়েছে। এ বিষয়গুলো সামনে রেখে গোশত বিলি-বণ্টনের কাজ সারতে হবে।
কারণ কুরবানির উদ্দেশ্য গোশত খাওয়া নয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
তাকওয়া আল্লাহর দরবারে পৌঁছায়
এ সম্পর্কে সূরা আল হজে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন, ‘উনাদের গোশত খোদার নিকট পৌঁছে না, রক্তও নয়। কিন্তু তোমাদের তাকওয়া তাঁর নিকট অবশ্যই পৌঁছায়। তিনি এগুলোকে তোমাদের জন্য এভাবে নিয়ন্ত্রিত করেছেন, যেন তাঁর দেয়া হেদায়েত অনুযায়ী তোমরা তাঁর তাকবীর করতে পারো। আর হে নবী, নেককার লোকদের সুসংবাদ দাও’। (হজ : ৩৭)।
কুরবানি কাদের ওপর ওয়াজিব
ইসলামী শরিয়তের ভিত্তিতে ঈদুল আজহার দিনে যার জাকাত দেয়ার সামর্থ্য আছে, অর্থাৎ যার কাছে ঈদের দিন প্রত্যুষে সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য বা সমপরিমাণ সম্পদ (জমানো টাকা) আছে, তার ওপর ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কুরবানি করা ওয়াজিব।
কুরবানির দেয়ার নীতি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহার সালাতের পরপরই পশু জবেহ করা উত্তম। যদি কোনো কারণে এ দিন কুরবানি দিতে না পারা যায়, তাহলে সাধারণত ১১, ১২ তারিখে কুরবানি দেয়া যাবে। তবে প্রখ্যাত ফকিহ ও গবেষক ইবনে বাজসহ অনেক আলেম ১৩ তারিখেও কুরবানি দিতে পারবেন বলে মতপ্রকাশ করেছেন।
মহানবী (সা.) ঈদুল আজহার দিনে কিছু না খেয়ে সালাত আদায় করতে যেতেন। কুরবানি করে সেই গোশত দিয়ে ঐ দিনের প্রথম খানা খেতেন। আমরাও এ সুন্নত পালন করতে পারি।
পরিশেষে বলতে চাই, আসুন আমরা আমাদের মাঝে লুকায়িত সকল প্রকার গর্ব-অহংকার ও আমিত্য পরিহার করে আল্লাহর নির্দেশনা ও রাসূল সা.-এর হাদীসের আলোকে পশু কুরবানি করে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের মাধ্যমে সূচিত করি সোনালি সুন্দর সমাজ।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।