ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ থেকে ১১ লাখ লিটার তেলের মধ্যে চার লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল সরিয়ে ডিপোতে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও চার জন নিখোঁজ রয়েছেন।
রবিবার (২ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টর্গাড ও বিআইডব্লিউটিএ এর উদ্ধার কর্মীরা।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে নিখোঁজদের স্বজনরা তাদের প্রিয়জনের খোঁজ পেতে সুগন্ধা নদীতে ট্রলার নিয়ে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাগর নন্দিনী-২ জাহাজটি ঝালকাঠি শহরের সুগন্ধা নদীর তীরে তেলের ডিপোতে তেল খালাস করা জন্য ১১ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল ভর্তি করে আসে।
জাহাজটি নোঙর করা অবস্থায় নদীর অপর প্রান্তে শনিবার দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগে যায়। আগুনে দগ্ধ হন জাহাজের শ্রমিক শাকিল (৩৫), ফরিদুল আলম (৫০), ইকবাল হোসেন (২৭) ও মাইনুল ইসলাম হৃদয় (২৯)। তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন চার জন।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের অপারেশন কর্মকর্তা লে. শাফায়েত বলেন, বিস্ফোরিত জাহাজের নিখোঁজদের সন্ধানে বরিশাল থেকে ঝালকাঠি পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় উদ্ধার অভিযান চললেও এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে কার্গোটিতে বহন করা বিপুল পরিমাণ জ্বালানি উদ্ধার করায় নদীর পানিসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।