অযত্নে, অবহেলায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দেবহাটার জমিদার ফনিভূষন মন্ডলের বসতবাড়ী

দেবহাটা অফিস \ বৃটিশ শাসনামলে দেশ বিখ্যাত ছিল দেবহাটা। জমিদার তথা ধনিক শ্রেনির বসবাস এবং তাদের সৃষ্টিশীলতা এই অঞ্চলকে যেমন সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রেখেছে অনুরুপ ভাবে শিক্ষা, সংস্কৃতি সর্বপরি মানবতাবোধকে এগিয়ে নিয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর জমিদার প্রথার ছন্দপতন ঘটতে থাকে এবং জমিদার শ্রেনিদের উলে­খযোগ্য অংশ নিজেদেরকে গুটিয়ে নিতে তাকে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় জমিদারদের আবির্ভাব, অস্তিত্ব, অবস্থান থাকলেও দেবহাটা, টাউনশ্রীপুরের জমিদারদের বিশেষ গুরুত্ব, মানবিকতা এবং শিক্ষা বিস্তরে সুখ্যাতি ছিল। দেবহাটার অগনিত সৃষ্টিশীলতার প্রতিমুখ জমিদারদের সুরম্য, প্রথিতযশা, সৌন্দর্য্যরে নৈপুণ্যে ভরা বসতবাড়ী আজ কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে চলেছে। ইতিহাস খ্যাত বৃহদাকার বসতবাড়ীগুলোতে আগাছা আচ্ছাদৃত ইট, পলেস্তারা খসে পড়ছে, প্রাসাদতুল্য বাড়ী আর শান বসানো পুকুর বলে দিচ্ছে জমিদার শ্রেনির সৌখিতার বিষয়। দেবহাটার এমনই এক প্রানসঞ্চারন সৃষ্টিশীল জমিদার ফনি ভূষণ মন্ডল। আমাদের দেবহাটা সদর ইউনিয়ন প্রতিনিধি উত্তম কুমার রায় জানান আধুনিক দেবহাটার রুপকার বাবু ফনি ভূষন মজুমদার দেবহাটার উন্নয়নে জমিজমা ধন সম্পদ অকাতরে বিলিয়েছেন। প্রয়াত জমিদার ফনিভূষন মন্ডল আজ নেই, কিন্তু তার অমর সৃষ্টি দেবহাটা বিপিন বিহারী মেমোরিয়াল হাইস্কুল, (পাইলট হাস্কুল), দেবহাটা হাসপাতাল এর জমিদাতা, ফুটবল মাঠ, পূজা মন্ডব, দেবহাটা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে জ্ঞান বিকিরন করে চলেছে। এই প্রয়াত মহানুভব ফনিভূষন মন্ডলের কৃতি সমগ্র বেঁচে আছে কিন্তু রক্ষনাবেক্ষনের অভাব হেতু তার বসতবাড়ী ধ্বংস প্রায়। দেশের অন্যতম প্রতœতত্ব হিসেবে এই বাড়ী এবং সান বসানো পুকুরে স্বীকৃতি পেতে পারে এবং কর্তৃপক্ষ সংরক্ষন করতে পারেন। ফনি ভূষনরা বারবার পৃথিবীতে আসবেনা, তিনি ছিলেন কেবল একজন জ্ঞান তাপস ব্যক্তিত্ব। মহান মানুষটি যে বাড়ীতে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন, যে বাড়ী ছিল উন্নয়ন এবং সৃষ্টিশীলতার প্রতিবিম্ব সেই বাড়ীটি অক্ষত থাকবে না কেন? এই প্রজন্ম, আগামী প্রজন্মের জন্য বিশেষ দৃষ্টান্ত আর প্রেরণা হতে পারে দেবহাটার কৃতি সন্তান বাবু ফনিভূষন মজুমদারের বসতবাড়ী।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।