রাজধানীতে শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ প্লাজায় এই সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন। বুধবার সমাবেশের শুরুতেই মারামারি আর চেয়ার ছোড়াছুড়িতে জড়িয়েছে দলের দুটি পক্ষ।
সভামঞ্চের সামনে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দুপুক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বুধবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সমর্থকদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সমর্থকদের মারামারি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে দুপক্ষের সমর্থকদের একে অপরের ওপর চেয়ার ছুড়তে দেখা যায়। এ সময় মঞ্চ থেকে সবাইকে বসে পড়ার অনুরোধ জানাতে থাকেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা।
মাইক হাতে নিয়ে এক নেতা বলেন, ‘আমাদের মহানগরের নেতাকর্মীরা যারা সামনে আছেন, সবাই চেয়ারে বসে পড়ুন। আপনারা বিশৃঙ্খলা করবেন না।’
মঞ্চ থেকে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি নিজ সমর্থকদের বলেন, ‘এই তোমরা বসে পড়, কোনো বিশৃঙ্খলা করা যাবে না।’
মঞ্চে উপস্থিত মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, পৌনে ২টার দিকে মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মন্নাফির সমর্থকরা মঞ্চের সামনে চেয়ারে বসে যান, এ সময় রূপগঞ্জ থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে একটি মিছিল মঞ্চের সামনে চলে আসে, তখন সেখানে বসাকে কেন্দ্র করে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের এই সমাবেশস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির সমাবেশ। ওই কর্মসূচি থেকে সরকারপতনের আন্দোলনের ‘এক দফা’ ঘোষণা আসবে বলে আগেই জানিয়ে রেখেছেন দলটির নেতারা।
একই সময়ে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃংখলা বাহিনী বিশেষ নজরদারি রেখেছে দুদলের সমাবেশে। ২৩ টি শর্তে দুই দলকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে।